

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবন থেকে সোয়া ৪টার দিকে কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে বের হন সিইসি। নির্বাচন কমিশন বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ এবং তপশিল ঘোষণার সময় নিয়ে আলোচনা হবে। সেসঙ্গে দেশব্যাপী গণভোট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও নির্বাচনকালীন ও গণভোট চলাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এই বৈঠককে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই বৈঠকের পরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচন কমিশন যে কোনো দিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আজ (রোববার) নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, চলতি সপ্তাহেই তপশিল ঘোষণা করা হবে। আচরণবিধি প্রতিপালনে তপশিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোট হবে।
সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করা হয়। কিন্তু সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইদিনে হওয়ায় ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, শুরু থেকে ইসির প্রস্তুতি ছিল শুধু সংসদ নির্বাচনের। সে হিসেবে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসি আগামী নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এখন সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইসঙ্গে গণভোটও হবে। একজন ভোটারকে দুটি করে ভোট দিতে হবে। এতে ভোট দিতে সময় বেশি লাগবে।
এ জন্য ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষ বাড়াতে হবে কি না, তা বুঝতে সম্প্রতি রাজধানীর একটি ভোটকেন্দ্রে মক ভোটিংয়ের আয়োজন করেছিল ইসি। ওই মক ভোটের প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনায় ইসি বলেছে, প্রতিটি ভোটকক্ষে একটির জায়গায় দুটি করে গোপন কক্ষ (যেখানে গিয়ে ভোটার ব্যালট পেপারে সিল দেন) স্থাপন করা হলে ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে না।
মন্তব্য করুন