আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অপতথ্য থেকে সমাজকে রক্ষায় ফ্যাক্ট চেকিংয়ের মাধ্যমে জনগণের জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন সাংবাদিকরা। এর মাধ্যমে জনগণ গুজব থেকে রক্ষা পাবেন। এক্ষেত্রে নারী সাংবাদিকদের প্রতি যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নারী সংবাদকর্মীদের নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) আয়োজিত ‘ফ্যাক্ট চেকিং এবং ভেরিফিকেশন টেকনিক’-বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুরুন নাহার হেনা সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন।
নুরুন নাহার হেনা বলেন, প্রতিটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের জন্য ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারলে অপতথ্য বা গুজব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, নারী সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা তৈরির ক্ষেত্রে ফ্যাক্ট চেকিং কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিকৃত, ভুয়া তথ্য এবং গুজব প্রভৃতি রোধে কর্মশালাটি নারী সাংবাদিকদের খুবই কাজে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধান আলোচক আবু রুশদ মো. রুহুল আমিনের আলোচনায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার গুরুত্ব ও ভুয়া সংবাদ প্রতিরোধের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক, গুগল, টুইটার আইনের আওতায় আনা এবং সাংবাদিকতায় অপতথ্য রোধে সঠিক তথ্য যাচাইয়ের কৌশলসমূহ প্রভৃতি বিষয় উঠে আসে। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ফ্যাক্ট চেকিং টুলস ব্যবহারের ওপর বিশেষ জোর দেন।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক, পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ কে এম আজিজুল হক কর্মশালায় আলোচনা করেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক নাফিস আহমেদ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪০ জন নারী প্রতিনিধি অংশ নেন।
মন্তব্য করুন