

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকে জড়িয়ে ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভিডিও প্রচার ও মানহানির চেষ্টার ঘটনায় কানাডা প্রবাসী ‘সাইবার সন্ত্রাসী’ নাজমুস সাকিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরুল করিম রাশেদ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এইচএম কামাল, আজাদ, শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খোন্দকার ইসলাম এবং হাজী হারুন রশিদ। এ ছাড়া যারা ‘নাগরিক টিভি’র ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার করেছেন, সেই অজ্ঞাত ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।
মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়া বাদীপক্ষের আইনজীবী রেহানা বেগম রানু বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদের পৃথক আরেকটি আবেদন মঞ্জুর করে ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে কথিত দুর্নীতির ভিডিওটি প্রত্যাহারের জন্য বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা সাইবার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ষড়যন্ত্রকারী, হলুদ ও ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তি। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে কুৎসা রটনা, চরিত্রহনন ও চাঁদা দাবি করে, এটাই আসামিদের একমাত্র পেশা ও নেশা। তারই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ থেকে নাম উল্লেখ করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উল্লিখিত ছবি সম্বলিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। প্রকৃত অর্থে এটা কোনো টিভি চ্যানেল নয়, এটি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ মাত্র। তাদের উল্লিখিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত ‘নাগরিক টিভি’র কর্তৃপক্ষ আসামি কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী ‘নাগরিক টিভি’র সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে প্রচার করেছে।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দিদার বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১০ আগস্ট।
এর আগে একই অভিযোগে গত রোববার রাতে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় কথিত ইউটিউবার নাজমুস সাকিবসহ সাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলার বিষয়টি দেখছি। নাগরিক টিভি নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলটির এডমিন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে আগেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
মন্তব্য করুন