শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ ‘ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা’ থেকে মোট ৫৮ জনের একটি দল ১১ রাত ১২ দিনের শিক্ষা সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। শিক্ষাকে আরও উপভোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে এ শিক্ষা সফরের মধ্যে রয়েছে কেনেডি স্পেস সেন্টার, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও নায়াগ্রা জলপ্রপাত পরিদর্শনসহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম। তৃতীয় গ্রেড থেকে দশম গ্রেডের মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী রোমাঞ্চকর এবং শিক্ষা ও অংশগ্রহণমূলক এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এ সফরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সমৃদ্ধ করে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষা সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে– দেশের বাইরে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কৃতি ও জীবন সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয় শিক্ষা সফর। শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পৃথিবী সম্পর্কে জানার পরিধি বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়; যা পরে তাদের সমস্যা সমাধান ও দলগত কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিপিএস এসটিএস স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার কিছু স্থানে শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করেছে।
শিক্ষা সফরের এ দল প্রথমে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে এমআইটি ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে দেখা করার এবং রোবোটিকস নিয়ে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্রের আইকনিক ভ্রমণ গন্তব্যগুলো পরিদর্শন করেছে- যার মধ্যে রয়েছে এমপায়ার স্টেট বিল্ডিং, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, সেন্ট্রাল ব্যাংক, নায়াগ্রা জলপ্রপাতসহ অনেক স্থান। শিক্ষামূলক এ ভ্রমণের মূল আকর্ষণ কেনেডি স্পেস সেন্টার। মাল্টি-সেন্সরি অভিজ্ঞতা উপভোগে নাসা’র অন্যতম মূল কেন্দ্র হচ্ছে কেনেডি স্পেস সেন্টার।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা এ কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি, খাবার, ইতিহাস এবং শিল্প উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ শিক্ষা সফর নিয়ে ডিপিএস এসটিএস-এর অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, এ সফর চলাকালে ডিপিএস এসটিএসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মা-বাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে নাসা’র কেনেডি স্পেস সেন্টার পরিদর্শনের। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাদের সঙ্গে আমাদের দক্ষ শিক্ষকরাও থাকবেন; তারা শিক্ষার্থীদের এ ভ্রমণ থেকে শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা করবেন। এ সফরের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে তারা এমআইটিও ঘুরতে যাবে, সেখানে শিক্ষার্থীরা সেখানকার শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করবেন, সেরা অনুশীলনী সম্পর্কে জানবেন। আমি তাদের সফরে শুভকামনা জানাই। স্কুলের ষষ্ঠ গ্রেডের এক শিক্ষার্থী বলেন, যখন আমি প্রথম এ সফর সম্পর্কে জানতে পারি, আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে নতুন দেশের নতুন সব জায়গা ভ্রমণ করব এটা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বোধ করি। কেনেডি স্পেস সেন্টারে যাওয়া নিয়ে আমি অত্যন্ত রোমাঞ্চিত, আমি মহাকাশের রহস্য উদ্ঘাটন করতে চাই।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, অভিভাবক হিসেবে আমরা চাই আমাদের সন্তানরা শিক্ষাকে উপভোগ করুক। এক্ষেত্রে শিক্ষা সফরের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? আমি এ শিক্ষা সফরে আমার সন্তানের সঙ্গে ভ্রমণের এবং সে কীভাবে নতুন জিনিস শিখবে এবং পৃথিবীকে নতুন করে আবিষ্কার করবে তা দেখার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।
মন্তব্য করুন