শিগগির মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালীর টাউনশিপ মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওয়াদা দিয়েছিলাম প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আজকে আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। দেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
তবে দুঃখের বিষয় হলো, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু সেটাও নিয়ন্ত্রণের আমরা চেষ্টা চালিয়েছি, ইনশাল্লাহ খুব শিগগির এই মূল্যস্থীতি হ্রাস পাবে- যোগ করেন তিনি।
কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ব্যবসা করতে পছন্দ করত, আমদানি করতে পছন্দ করত। আমাদের লক্ষ্য ছিল নিজের পায়ে দাঁড়াব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে রাস্তাঘাট উন্নয়ন আর মানুষের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই। খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমরা ’৯৬ সাল থেকে যে গবেষণা শুরু করেছিলাম, তার সফলও আমরা পেতে শুরু করি। যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে রেখে গিয়েছিলাম, সেই দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করেছিল বিএনপি। আমরা আবার উদ্যোগ নিয়ে এই দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমাদের ধান; অর্থাৎ খাদ্যশস্য মাত্র ৭৯ টনের বেশি উৎপাদন হতো না, যা আমরা এক কোটি ৫৯ লাখ টনে উন্নীত করেছিলাম ২০০১ সালের মধ্যে। সেটা আবার কমে যায়।
তিনি বলেন, ২০০২-০৩ সালে যদি দেখেন, এক ফোঁটা খাবার বাড়েনি উৎপাদন। কারণ তারা ব্যবসা করতে পছন্দ করত। আমদানি করতে পছন্দ করত। আমাদের লক্ষ্য ছিল নিজের পায়ে দাঁড়াব, মর্যাদার সঙ্গে চলব, কারও কাছে হাত পাতব না। আজকে আমরা সেখানে চার কোটির ওপর খাদ্যশস্য, দানাদার শস্য উৎপাদন করে থাকি। আমাদের চাহিদার থেকে বেশি আমরা উৎপাদন করি।
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
বেলা ১টায় কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপ্রকল্প অনুষ্ঠানস্থল থেকে এটির উদ্বোধন করেন তিনি।
মন্তব্য করুন