নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দলটি (বিএনপি) যদি নির্বাচনে আসে, তাহলে নির্বাচনের তপশিল পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় এ দুজেলার রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিতি ছিলেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা শেষে একই মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
আনিছুর রহমান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, তারা যদি নির্বাচনে আসে, সে ক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন বা তপশিল পরিবর্তনের বিষয়টা বিবেচনা করব। ২০১৮ সালেও এমনটি করা হয়েছিল। তখনকার কমিশন ২০১৮ সালের নির্বাচনের তপশিল পরিবর্তন করেছিল। যদি সে রকম হয়, সেটা অবশ্যই বিবেচেনা করব, করা যাবে, করার সুযোগ আছে আমাদের। কারণ সেই পরিমাণ স্পেস আছে আমাদের।
এর আগে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে তপশিল পেছাতে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, জাতীয় পার্টি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আসে এবং যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে, তবে আমরা আলোচনা করে দেখব।
শতভাগ দল কখনোই নির্বাচনে আসেনি এবং অংশ নেয়নি উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনের বলেন, যখন অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, তখন নির্বাচনের একটা আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের সঙ্গে যারা রেজিস্টার্ড আছে, ৪৪টি দল, তারা সবাই অংশগ্রহণ করুক। যদি ৭০ ভাগই দল অংশ নিয়ে থাকে, তবে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে।
কয়েক দিন আগে বিএনপি প্রসঙ্গে আরেক নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে এলে তপশিল পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মন্তব্য করুন