পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সারজিস

পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি : কালবেলা
পঞ্চগড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি : কালবেলা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বলছে— ‘তারা শাপলা প্রতীক দেবে না’। কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও চাপের কাছে নত হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা নির্বাচনের আগেই কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সারজিস আলম বলেন, যখন আমরা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি, তখন সব আইনকানুন যাচাইবাছাই করে আবেদন করেছি। শুরুতে অনেকে বলার চেষ্টা করেছে শাপলা যেহেতু জাতীয় প্রতীক, তাই এটি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। কিন্তু আইনগতভাবে বিষয়টি সঠিক নয়। শাপলা জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ হলেও এটি এককভাবে জাতীয় প্রতীক নয়। একইভাবে জাতীয় ফল বা জাতীয় প্রতীক-সংশ্লিষ্ট আরও অনেক প্রতীক বিভিন্ন দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। তাহলে শাপলা কেন দেওয়া হবে না?

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে তাদের লিস্টে শাপলা নেই। অথচ লিস্ট হালনাগাদ বা ইমপ্রুভ করার দায়িত্ব তো তাদের। আমরা কয়েক মাস আগে আবেদন করেছিলাম, তখনই তারা কাজটা করতে পারত। আমরা নতুন করে আবেদনও দিয়েছি। তারপরও আইনগত কোনো যুক্তি না দেখিয়ে কেবল এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর মানে হচ্ছে, নিশ্চয়ই কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

মতবিনিময়কালে সারজিস আলম তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা সমমনা ও কাছাকাছি আদর্শের তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশের মানুষ চায় তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হোক। আমরা যদি রাজনৈতিক দলের পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তাহলে মাঠ পর্যায়ের মানুষও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে।

তিনি জানান, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে। পাশাপাশি এবি পার্টির সঙ্গে জোট (অ্যালায়েন্স) ভিত্তিক আলোচনাও এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের সমর্থন নিয়েই আমরা সংসদে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।

আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন সারজিস আলম। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বিদেশে পাচার করা হাজার কোটি টাকা দেশে এনে ভাড়া করা লোক দিয়ে মাঝে মাঝে মিছিল করানো হচ্ছে। এগুলো আওয়ামী লীগের প্রকৃত শক্তি নয়। যদি সত্যিই তাদের এত লোকবল থাকত, তাহলে জুলাই-আগস্টে যখন সাধারণ মানুষ ও ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছিল, তখন তারা কোথায় ছিল?

তিনি আরও বলেন, টাকা দিয়ে ভাড়া করা টোকাইদের ভোরবেলা নামিয়ে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানে আসল রাজনৈতিক কর্মসূচি আর ভাড়াটে শোডাউন কাকে বলে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির চ্যাপ্টার এখন ক্লোজ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পায়ে যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

মরিচ গাছ চুরি নিয়ে সংঘর্ষে কৃষক নিহত

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার নিয়ে সতর্কতা গুগলের

সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘দেলুপি’

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে নিহত ২, নিখোঁজ ২১

স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যান রহিমা, ৭ দিন পর মিলল বস্তাবন্দি লাশ  

যে কারণে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া

চূড়ান্ত হলো আইপিএল নিলামের তারিখ ও ভেন্যু

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১০

শীতে নরম তুলতুলে হাত চাইলে যা করবেন

১১

ড্রামে খণ্ডিত ২৬ টুকরা মরদেহ, সন্দেহের তীর বন্ধুর দিকে

১২

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত

১৩

হামজার চোট কতটা গুরুতর, যা জানা গেল

১৪

কিছু ছোট পরিবর্তনেই বদলে যাবে আপনার পুরো লুক

১৫

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৬

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে নরওয়ে

১৭

২৯ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের নতুন ডিসি জাহিদুল 

১৮

মঙ্গল অভিযানে নাসার দুই মহাকাশযান

১৯

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে আগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

২০
X