কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কনস্টেবল বাদল হত্যায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালতে আসামিরা। ছবি : সংগৃহীত
আদালতে আসামিরা। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ুন কবীর।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরের কোম্পানি-২-এর কনস্টেবল বাদল মিয়া ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চে দায়িত্বরত ছিলেন। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ উদ্ধার করা হয় মতিঝিল থেকে। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিন আসামিদের মধ্যে বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিএন্ডটি কলোনীস্থ এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল লতিফ মামলা করেন। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালতে দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনী এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় তাদের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। তারা সন্দেহ করেন, বাদল মিয়া থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। রিপনের আত্মীয় গোপালের নাম প্রকাশ করে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা বাদল মিয়াকে কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্তর থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোড সংলগ্ন নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। লাশ গোপন করতে সিএন্ডটি স্কুল এন্ড কলেজের পাশে রোডে ফেলে যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) সরকারি ছুটি কবে?

শ্রাবন্তীর লেহেঙ্গায় মুগ্ধ ভক্তরা

শুক্র-শনি ছুটিসহ এনজিওতে চাকরির সুযোগ

এইচএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ, পাবেন আবাসন সুবিধাও

একাদশে ভর্তির তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন কবে?

মাঠের করুণ অবস্থা দেখে কান্না চলে আসছে : বুলবুল

আরও ১৪ জেলেকে অপহরণ করল আরাকান আর্মি

ব্রাজিলে বেড়ে ওঠেও আর্জেন্টিনার জার্সিতে স্বপ্ন দেখছেন তরুণ ফুটবলার

ইয়েমেনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় ইসরায়েল

সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১০

ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পিছিয়ে রাখা হয়েছিল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ

১২

জোয়ারের তোড়ে লোকালয়ে ভেসে এলো বনের হরিণ

১৩

৩শ সাপ পুষছেন ইদ্রিস, কামড় খেয়েছেন দুই শতাধিক

১৪

রেকর্ড জয়ের পরও সিরিজ হাতছাড়া অজিদের

১৫

ভয়াবহ যৌন হয়রানির ঘটনা জানালেন সালমানের নায়িকা

১৬

‘আইন শক্তিশালী হলেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে’

১৭

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে আটকে দিচ্ছে পেন্টাগন

১৮

ইসিতে ধাক্কাধাক্কি-হাতাহাতি, ক্ষোভ ঝাড়লেন রুমিন ফারহানা 

১৯

গণফ্রন্টের কার্যকরী চেয়ারম্যান হয়েছেন অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন

২০
X