বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ফরিদপুর-১ আসনে (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার অনেক উপাদান রয়েছে। শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট চাইতে গেলে কাউকে গালি খেতে হবে না।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বোয়ালমারী পৌর সদরের অডিটরিয়াম চত্বরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদারের সভাপতি কর্মিসভায় আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে রাস্তা ছিল না, ঘাট ছিল না। সে সময় খাদ্য সংকটে ভুগছিলেন দেশবাসী। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে দারিদ্র্য থেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক ’৭৫-র ১৫ আগস্টে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর শেখ হাসিনা চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশে ১৫ বছরে সব পর্যায়ে দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দেশকে পরিচিত করেছেন। উন্নয়নের বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে এখন এক নামে জেনেছেন।
আব্দুর রহমান বলেন, আমরা এই এলাকায় অনেকেই মনোনয়ন চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েই আমরা কাজ করছি। যারা দলের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন তারা দলীয় সিদ্ধান্ত মানছে না।
নির্বাচনী এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, গত ১০ বছর আমি এমপি ছিলাম। তিন উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক উন্নয়ন করেছি। আমার সমালোচকরাও উন্নয়নের কথা বলাবলি করে। এলাকায় বাকি উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করতে আপনাদের আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম বাকের ইদ্রিসের সঞ্চালনায় কর্মিসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জনি, সাধারণ ফয়সাল আহমেদ রবিন, জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মনজুর রহমান তুষার, পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল শেখ, সাতৈর ইউনিয়নের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, দাদপুর ইউনিয়নের সভাপতি শামীম ওসমান, বোয়ালমারী ইউনিয়নের সভাপতি শাহজাহান শেখ, ময়না ইউনিয়নের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মুন্সী সেলিম হোসেন, বিমান রায়, ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য খায়ের মিয়া, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান মোল্যা, জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, জেলা যুবলীগের সদস্য দাউদুজ্জামান দাউদ, পৌর আ.লীগের সদস্য রাহাদুল আকতার তপন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপমানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান সোহেল, সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি, বোয়ালমারী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর কাজী সেলিমুজ্জান, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মৌতুজা আলী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন