ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিশ্ব মুসলিম দেশগুলোর নীরবতার কারণে ফিলিস্তিন মুক্ত হচ্ছে না। তাদের উচিত নীরবতা ভেঙে কঠোর প্রতিবাদ করা।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের ভিআইপি লাউঞ্জে হুরমতে আকসা কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পীর সাহেব চরমোনাই।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের প্রথম কাজ হলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে আওয়াজ উঠানো এবং মুসলিম সরকারগুলোর কাছে কঠোরভাবে এই দাবি তোলা যে আপনারা এ যুদ্ধে নীরবতার ভান ধরে বসে থাকবেন না বরং হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। শুধু মৌখিক বিবৃতি ও সমর্থনই যথেষ্ট নয় বরং তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা এবং মুসলমানদের অবশ্য কর্তব্য হলো মজলুমের জন্য দোয়া করা।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর যে জুলুম নির্যাতন হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদে আমাদের রাজপথে থাকা অবশ্যক। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ইসরায়েলকে বসত করার জন্য সুযোগ দিয়ে মুসলমানদের ওপর একের পর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের সূক্ষ্ম কূট চালের কারণে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। সাম্রাজ্যবাদীর চক্রের জবর দখলে প্রতিষ্ঠিত অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল ও পশ্চিমাদেশগুলো মানবাধিকার গণতন্ত্রের কথা বলে মানুষ হত্যা করে। আমেরিকা ইউরোপসহ যেসব দেশ যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিন মুসলমানদের হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে জাতিসংঘের কোনো প্রতিবাদ আমরা দেখছি না। ওআইসির মতো সংগঠন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর ভূমিকাও দুঃখজনক।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আয়িম্মা পরিষদ সিলেট মহানগর সভাপতি হাফিজ মাওলানা আসআদ উদ্দিনের সভাপতিতে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বদরুল ইসলাম ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফখরুদ্দিনের ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুর রহমান আজাদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলমী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসাইন চট্টগ্রাম, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামছোদ্দোহা আশরাফী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফি।
এ ছাড়াও মাওলানা মাসুক আহমেদ সালামী শিক্ষা সচিব দারুসসালাম মাদ্রাসা, মাওলানা হোসাইন আহমদ, হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা জিয়াউর রহমান মুহাদ্দিস, মাওলানা আহাম্মদ কবির খলিল মুহাদ্দিস, মুফতি নোমানুল হক চৌধুরী, মাওলানা শেখ নাসির উদ্দিন, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা সিরাজ উদ্দিন আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন