সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ‘এক দফা’ ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করেছে বিএনপি।
সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আজকে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের চেয়ে কাঁচামরিচের দাম বেশি। এই সরকার পালাতে বাধ্য হবে। এখন তারা কীভাবে পালাবে সেই সিদ্ধান্ত নিক। ওবায়দুল কাদের ফুলপ্যান্ট পড়ে পালাবেন নাকি হাফ প্যান্ট পরে পালাবেন? নাকি আফগানিস্তানের মতো বিমানের চাকা ধরে পালাবেন? আমরা এরশাদের সময় এক দফা দিয়েছিলাম। এরশাদ পালাতে বাধ্য হয়েছেন। আজকের জনসমুদ্র প্রমাণ করে আপনাদের শেষ রক্ষা হবে না।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা ২টায় শুরু হওয়া সমাবেশের মূল ব্যানারে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছবির পাশে লেখা ‘গণতন্ত্রের ঘাতক, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও সর্বনাশা অনাচারে লিপ্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের এক দফা যৌথ ঘোষণা’।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আমিনুল হক, তাইফুল ইসলাম টিপু, তানভীর আহমেদ রবিনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান ওমর, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মো. আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, রকিবুল ইসলাম বকুল, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, টি এস আইয়ুব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এস এম জিলানী, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আনোয়ার হোসাইন, হাসান জাফির তুহিন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন