কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে : প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে। অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে। তাদের মূল লক্ষ্য সরকার উৎখাত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে। পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। বাংলাদেশ যে পারে এটাই তার প্রমাণ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়। কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না। এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি। বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই। তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না।

ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা দলের কাছে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি। জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে।

জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে। দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে। মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করত সেখানতার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধিতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কী জুলুমটাই না করল আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর জবাব কী? প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে। শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি। পহেলা আষাঢ় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিলেটের ১৯ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী চূড়ান্ত

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, তানজিলা টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ

মিটফোর্ডে বর্বরতার দায় বিএনপি ও সরকারকেই নিতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’

ব্যবসায়ী হত্যা / যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫ নেতা আজীবন বহিষ্কার

ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে ইডেনে বিক্ষোভ, ছাত্রদলকে হল ছাড়ার আলটিমেটাম

তুরাগ থানা এলাকায় বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অচলাবস্থা, মুখ খুললেন সেই সাব-রেজিস্ট্রার

কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জোট করবে না জামায়াত : ড. মাসুদ

বিএনপি সর্বদা সন্ত্রাস দমনে সরকারকে সহযোগিতায় প্রস্তুত : তারেক রহমানের উপদেষ্টা

১০

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিন্দা ও প্রতিবাদ এবি পার্টির

১১

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় জামায়াত আমিরের স্ট্যাটাস

১২

পাথর মেরে মানুষ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের

১৩

ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

১৪

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে ইতালির ইতিহাস

১৫

ব্যবসায়ীকে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১৬

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের দাবি ও আহ্বান

১৭

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

১৮

হেফাজত আমিরের দোয়া নিলেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী

১৯

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত

২০
X