কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মণিপুরী শাড়িসহ ৭টি পণ্য জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায়

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির অপেক্ষায় মণিপুরী শাড়ি। ছবি : সংগৃহীত
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির অপেক্ষায় মণিপুরী শাড়ি। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার অংশ হিসাবে জিআই জার্নালের জন্য অনুমোদিত হয়েছে আরও ৭টি পণ্য। এগুলো হলো- সিরাজগঞ্জের গামছা, সিলেটের মণিপুরী শাড়ি, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, ঢাকার মিরপুরের কাতান, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, টাংগাইলের মধুপুরের আনারস ও মাগুরার হাজরাপুরী লিচু। জানা গেছে, এই জার্নাল প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

নিয়ম অনুযায়ী, জিআই জার্নালে প্রকাশের পর দুই মাস কোনো পণ্যের বিষয়ে কারও আপত্তি, মতামত বা চ্যালেঞ্জ আছে কিনা সেটি দেখা হয়। কোনো আপত্তি না এলে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নির্দেশনা অনুযায়ী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জিআই সনদ প্রদান করে।

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ পাস হওয়ার পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জিআই পণ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে প্রথম ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় আমরা এগিয়ে গেছি।

তিনি বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত দেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা ৩১। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদানের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ঐতিহ্যবাহী ৩০টি পণ্য প্রক্রিয়াধীন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নোয়াখালীর মহিষের দই, জয়পুরহাটের লতিরাজের কচু, সিরাজগঞ্জের তরল দুধ এবং একই জেলার লুঙ্গি, নওগাঁর নাক ফজলী আম, সুন্দরবনের মধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ। আরও আছে পটুয়াখালীর মৃৎশিল্প, ঝালকাঠির পেয়ারা, শেরপুরের ছানার পায়েস, দিনাজপুরের বেদানা লিছু, কুমিল্লার খাদি, মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়, বরিশালের আমড়া, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা, ঝিনাইদহের ল্যাংচা মিষ্টি, খালিশপুরের সাদা চমচম, হরিনাকুণ্ডুর পান। এ ছাড়াও গাজীপুরের কাঁঠাল, মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি, পিরোজপুরের মাল্টা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, বরগুনার সোনামুগ ডাল, বান্দরবানের থামি ও মুরুংবাশি, মৌলভীবাজারের দুছনির দই, গফরগাঁওয়ের লাফা বেগুন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন তারেক রহমান

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, চিকিৎসকসহ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

সেমিতে হেরে বিশ্বকাপে তৃতীয় বাংলাদেশ

কোপেনহেগেনে ফুসফুস স্বাস্থ্য সম্মেলনে বাংলাদেশি ২ বিশেষজ্ঞ

আগুনে পুড়ে ছাই আড়াই হাজার মুরগির বাচ্চা

কলেজে শিক্ষার্থীদের টিকটক ভিডিও, মোবাইল নিষিদ্ধ করল কর্তৃপক্ষ

তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের বক্তব্য, পাল্টা অবস্থান চীনের

পানি কি সত্যিই ত্বক উজ্জ্বল করে

তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ভূমিকম্প / বুয়েট বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে ঢাবিতে হল পরিদর্শন শুরু

১০

কংক্রিট নির্ভর উন্নয়ন ঢাকাকে অনিরাপদ করেছে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১১

সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুপালি বরখাস্ত, এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

১২

মহাসড়কের পাশে মিলল কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক 

১৩

ইউআইইউতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি এবং নিরসন বিষয়ক সেমিনার

১৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ৫ সদস্য

১৫

বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি দিদারুল

১৬

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অপহরণ মামলার আসামি সম্রাট

১৭

স্মার্টফোন যেভাবে ভূমিকম্প শনাক্ত করে

১৮

ছাত্রদলের ১ ইউনিটের কমিটি স্থগিত

১৯

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে নেবে ১ হাজার ১৫২ জন

২০
X