নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) হেডকোয়ার্টারের সহকারী পরিচালক জেনারেল জান সাওতোমি’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এ সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ করে 'মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ' নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চাহিদাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাইকার সহায়তায় ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ‘মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর’ নির্মিত হচ্ছে। এর ফলে ১৬ মিটার গভীরতার এবং ৮ হাজার টিইইউজ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) ধারণ ক্ষমতার জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। বন্দরে বেশি গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারার অর্থ হচ্ছে অনেক ধরনের পণ্যের খরচ টন প্রতি ৫-৬ ডলার কমে যাওয়া।
চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে তুলনা করলে মাতারবাড়ি টার্মিনালে সমুদ্রপথে প্রতি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারে খরচ সাশ্রয় হবে ১৩১ ডলার। আর ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারে সাশ্রয় হবে ১৯৭ ডলার। সরাসরি পণ্য রপ্তানির কারণে প্রতি বছর গড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন