ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকে লাইভে এসে একের পর এক তথ্য দিচ্ছেন তিনি। এ অবস্থায় বর্তমানে হিরো আলম নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে ৮ থেকে ১০ জন আমার মহানগর প্রজেক্টের অফিসে এসে নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। নিরাপত্তাকর্মীকে তারা বলেছেন, হিরো আলমকে ডাক দে, সে কোথায় থেকে লাইভ করছে, ওকে ডাক দে, ওর খবর আছে।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আমি বর্তমানে আশকোনা এলাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছি। আজ দুপুরে এখানে সাংবাদিকদের ডেকেছি। আমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সেই বিষয় নিয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষের দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা চালায়। মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে তিনি বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে গাড়িতে করে চলে যান।
হামলার পর সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, দেশে যে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই, সেটি আমি বিদেশিদের কাছে তুলে ধরব। পাশাপাশি আমার ওপর হামলার বিচার চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকান অ্যাম্বাসিকে অভিযোগ দেব। শুধু তাই নয়, যেখানে যেখানে অভিযোগ জানাতে হবে, আমি প্রতিটা জায়গায় চিঠি দেব।
এ ঘটনায় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য করুন