কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খাদ্য নিরাপত্তায় দ্রুত লবণাক্ত পানি অপসারণের পরামর্শ

‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তা : আশু করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাপার নেতারা। ছবি : কালবেলা
‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তা : আশু করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাপার নেতারা। ছবি : কালবেলা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জাতীয় কমিটির সদস্য গওহর নঈম ওয়ারা বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিঠাপানির জলাশয় থেকে দ্রুত লবণাক্ত পানি অপসারণ করতে হবে। না হলে এটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। রিমাল কোনো মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ছিল না। কিন্তু এটি উপকূলে আঘাত হানার পর থেকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করেছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাঁধ সংলগ্ন নিচু এলাকা উপচে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে।

শনিবার (১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাপার আয়োজনে ‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তা : আশু করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গওহর নঈম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, ২৭ হাজার মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল হয়ে যায়। আমরা দেখেছি, এর আগে বাংলাদেশে আঘাত হানা বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় দুই থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। এবার দীর্ঘ সময় ধরে এক ঝড় থাকার ফলে ঝড়ের সঙ্গে পানি ঢুকছে। ঘূর্ণিঝড় অনেকক্ষণ অবস্থান করলে দুইটা জোয়ার ধরে ফেলবে সেটা না বুঝতে পারা এবং সেই অনুযায়ী সতর্কবার্তা দিতে না পারাটা আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্মগত ত্রুটি।

তিনি বলেন, শত-শত গ্রামে চিংড়ির ঘেরসহ ফসলী জমিতে নোনা পানি প্রবেশ করেছে। বরিশাল অঞ্চলে কমপক্ষে ৪০০ জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। খুলনা অঞ্চলের তিন জেলায় ৬১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় পুরোপুরি এবং কিছু এলাকায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ। নিচু এলাকায় লোকালয়ে নোনা পানি প্রবেশ করেছে। নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ পানি ঢুকে মিঠাপানির আধারগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। সামনের আমন মৌসুম ধরতে হলে মাঠ ও জলাশয় থেকে দ্রুত লবণপানি বের করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভিআইপিদের চলাচল সীমিত করতে হবে। প্রশাসন ত্রাণ কাজে মনোনিবেশ না করে প্রটোকলে তাদের সময় দিতে হয়, ফলে ত্রাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। ফটোসেশন মানবাধিকারের সঙ্গে যায় না। এ ধরনের প্রবণতা পরিহার বাঞ্ছনীয়।

বাপার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ রফিকুল আলম বলেন, দেশে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এত বেশি সংকেত থাকায় মানুষের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সংকেত সহজ করা হলে এ ধরনের দুর্যোগের ফলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। অন্য কোনো দেশেই এত বেশি সিগনাল ব্যবস্থা চালু নেই। একটি হুঁশিয়ারি সংকেত, বিপদ সংকেত ও মহাবিপদ সংকেত, এই ৩ ধরনের সংকেত রাখার দাবি জানান তিনি।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, সাইক্লোন চলে যাওয়ার পর সরকার সেই ক্ষয়ক্ষতির ঠিকমতো কোনো হিসাবও রাখে না। উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টার চালু করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে বাপার সহসভাপতি শহিদুল হক খান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল বক্তব্য রাখেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাজিলের তারকাদের নিয়ে তীব্র সমালোচনায় রোমারিও!

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং / বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তানিয়া আমীরের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

দুই মহাদেশের দুই প্রতিযোগিতা থেকে মেসি-রোনালদোর বিদায়

দেশকে নতুন করে গড়তে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা

চুরির সময় বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু

নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগে সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা

বিশ্লেষণ / সুপারপাওয়ার হয়েও ইয়েমেনিদের থামাতে পারছে না আমেরিকা

শ্রমজীবী মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবি

যশোরে জৈব বায়োলিডে বাড়ছে ধানের ফলন

৩২ বছর খুলছে জাকসুর দুয়ার, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

১০

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বরিশালের আমড়া

১১

এনসিপির প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানাল ইশরাকের আইনজীবী 

১২

ফিলিস্তিনিদের জন্য মালয়েশিয়াস্থ চট্টগ্রাম সমিতির অনুদান

১৩

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ / ভারতের প্রতি সমর্থন, তবে পাকিস্তান প্রসঙ্গে প্রমাণ চায় যুক্তরাষ্ট্র

১৪

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু ইস্যুতে অপপ্রচারে ব্রিটিশ এমপিদের উদ্বেগ 

১৫

আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

১৬

এআই আর্মস রেস  / ইসলামি দেশগুলোকে নিয়ে বসছে ইরান

১৭

কেউ গোপনে ভালোবাসছে? জেনে নিন তার ৭টি লক্ষণ

১৮

রক্তাক্ত গাজা : ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৫

১৯

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট

২০
X