মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে আজ রোববার নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বন্ডের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিপরীতে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা করা হয়েছে, যার সঙ্গে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মানিলন্ডারিং আইন অর্থ পাচার প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি মাসের ৬ জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতা ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৬ জন।
সরকার করদাতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে রয়েছে জরিপের মাধ্যমে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, এক পাতার রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজীকরণ, তাৎক্ষণিক হিসাব নিরূপণ, অনলাইন ই-রিটার্ন দাখিল, আয়কর প্রদান সহজীকরণ, যেমন—অনলাইনে আয়কর প্রদানের জন্য এ চালান, রকেট, নগদ, বিকাশ ও সোনালি ব্যাংক ই-পেমেন্টের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ ব্যবস্থা চালু এবং করদাতাদের সম্মাননা প্রদান।
বগুড়া-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেয়নি। কাঙ্ক্ষিত হারে আয়কর রিটার্ন না পাওয়ার কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর অনুবিভাগে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়কর অফিস না থাকা, বিদ্যমান আয়কর আইন এবং ই-টিআইএন নিবন্ধন সিস্টেমে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় করদাতাদের তথ্য পৃথকভাবে সংরক্ষণের সুযোগ নেই বিধায় প্রকৃত রিটার্ন দাখিল করার যোগ্য করদাতার সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।
মন্তব্য করুন