ড. বদিউল আলম মজুমদার
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৩, ১১:০০ এএম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. বদিউল আলম মজুমদারের সাক্ষাৎকার

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুলিশের অনুমতি সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়

ড. বদিউল আলম মজুমদার। ছবি : ড. বদিউল আলম মজুমদারের ওয়েবসাইট থেকে
ড. বদিউল আলম মজুমদার। ছবি : ড. বদিউল আলম মজুমদারের ওয়েবসাইট থেকে

ড. বদিউল আলম মজুমদার

সুসাশনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি একজন অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও উন্নয়নকর্মী। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বর্তমান পর্যায়ে ‘দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটোল ইউনিভার্সিটি, ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করেছেন। এ ছাড়া তিনি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’তেও কনসালটেন্ট ছিলেন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা

কালবেলা: ঢাকায় বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ কেমন দেখলেন? আগামী দিনের রাজনীতির গতি কোন দিকে?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: কিছুটা উত্তাপ-উত্তেজনা থাকলেও বিএনপির মহাসমাবেশ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। রাজনীতিবিদরা কিছুটা হলেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা এমনই আশা করি। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালন করবে এবং এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তারা কোনো রকম সংঘাত-সহিংসতায় জড়াবে না, কোনো রকম সহিংসতায় লিপ্ত হবে না—এটাই কাঙ্ক্ষিত। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে না, এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে কোনো বাধা নেই। তবে শুক্রবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ ছিল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। এতে সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। প্রত্যেক দল তাদের নিজের মতো করে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করবে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। এক দল কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং অপর দল একই সময়ে একই জায়গা বা কাছাকাছি জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এতে উত্তোজনে আরও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সহিংসতা হতে পারে। ‘সহিংসতা’—সহিসংতা সৃষ্টি করে এবং এক সময়ে সেটি বেসামাল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। গতকাল এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বড় রাজনৈতিক দলের বিরাট সমাবেশ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এ সমাবেশে যোগ দিয়েছে। উভয় সমাবেশ মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আয়োজনের জন্য উভয় দলের রাজনীতিবিদদের প্রশংসা করি। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা আশঙ্কার বিষয়টি উপেক্ষা করতে পারি না।

কালবেলা: গতকাল আরেকটি খবর গুরুত্বপূর্ণ ছিল আর সেটি হলো—যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যান কর্তৃক জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধিকে লেখা চিঠি। একে আপনি কীভাবে দেখছেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন কংগ্রেসম্যান কর্তৃক জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধিকে লেখা চিঠিকে আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। এ চিঠির মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের কিছু কিছু সংস্থার ব্যাপারে তারা খুবই কঠোর শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করেছেন। জাতিসংঘের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়েও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এটি আমাদের জন্য কোনোভাবেই সম্মানজনক নয়। যেখানে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য—সেখানে আমাদের দেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী এসে নির্বাচন আয়োজন করবে, সেটি আমাদের মর্যাদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। দেশে রাজনৈতিক সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করব কী করব না, তার চেয়ে কোনো অংশে কম নির্ভর করে না আন্তর্জাতিক মহল কীভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। এক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। এটি আমাদের দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।

কালবেলা: আজ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি ছিল। রাজধানীর বেশকিছু স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সহিসংতা হয়েছে। এটি আমাদের কী বার্তা প্রদান করছে?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে গ্রামের ভাষায় গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধানোর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটি কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এসব কর্মসূচি ভয়াবহ ঝুঁকির সৃষ্টি করে। বস্তুত আজ সহিংসতা হয়েছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে কিছুটা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ব্যক্তিরা আহত হয়েছেন, কিছু কিছু গ্রেপ্তারও হয়েছেন। বিরোধীদলগুলো যদি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, সমাবেশের স্বাধীনতা ইত্যাদি আমাদের মৌলিক অধিকার। এগুলো সংবিধান কর্তৃক সংরক্ষিত। এসব মৌলিক অধিকার পালনে পুলিশের অনুমতি লাগবে, সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। তবে অবশ্যই পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যক্রম তৈরির শঙ্কা থাকলে বা ঘটলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা। পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, যেখানে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা সংঘাত হবে না, সেটি কাম্য নয়। পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ নয়। তবে দুই দলকেই সহিংসতা পরিহার করতে হবে।

কালবেলা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বারবার সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণ কী? এর থেকে উত্তরণের পথইবা কী?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য হলো, আগামী নির্বাচনটি কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে—বর্তমান সরকারের অধীনে হবে নাকি একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হবে। সেটি অবশ্যই মৌলিক প্রশ্ন। কিন্তু রাজনীতিবিদরা এই মৌলিক প্রশ্নের সমাধান আলোচনার পথে না গিয়ে রাজপথে চেষ্টা করছে। কিন্তু সমাধানটি হতে হবে আলোচনার টেবিলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে যে কোনো প্রশ্নের সমাধান আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে হতে হয়। রাজনীতি বিমূর্ত কোনো বিষয় নয়। রাজনীতি হলো একটি প্রক্রিয়া—যেখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো এবং সমস্যার সমাধান করা। এর পরিবর্তে আমরা রাজনৈতিক সমস্যা রাজপথে সমাধানের চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। এটি রাজপথে সমাধান হবে না। রাজপথে সমস্যা সমাধানের দুটি ঝুঁকি। একটি হলো, রাজপথের সমাধান টেকসই হয় না। রাজপথে সাময়িকভাবে কারও পরাজয় হতে পারে, কিন্তু সমস্যাটি চলে যায় না, সমস্যাটি আরও ভয়াবহ আকারে আবার ফিরে আসে। রাজপথে সমস্যা সমাধান না হওয়ার দ্বিতীয় কারণটি হলো সহিংসতা। সহিংসতা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এতে আমাদের পুরো জাতির জীবন-জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। রাজপথের সমাধানের চেষ্টা করা হলে তা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারে। আমাদের রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধানে না গিয়ে সহিংস পথে সমাধানের চেষ্টা করছে, তা আত্মঘাতী হতে পারে।

কালবেলা: রাজপথে সমাধান কি টেকসই হয়?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: অতীতে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে যেসব সমস্যার সমাধান হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই টেকসই হয়নি। বরং সংঘাত ও সংঘর্ষ বেড়েছে। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা বদল বা ক্ষমতায় থাকার গ্রহণযোগ্য পথ হলো মানুষের সম্মতি। সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি। রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো পরিবেশ এখানে তৈরি হয়নি। ১৯৯৬ সালে পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক সমঝোতা এসেছিল সংবিধানের ক্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সৃষ্টির মাধ্যমে। কিন্তু আদালতের রায়ের সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যার মাধ্যমে একতরফাভাবে ২০১১ সালে সে রাজনৈতিক সমঝোতাটি বাতিল করে দেওয়া হয়। এর ফলে আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল নিয়ে ঘোরতর প্রশ্ন রয়েছে। এটি সাংবিধানিক সংবিধান সংশোধন ছিল না, এটি ছিল অসাংবিধানিক সংবিধান সংশোধন। এর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন আমাদের সংবিধানে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমাদের ইতিহাসে ১১টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ১১টির মধ্যে চারটি নির্বাচন হয়েছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সাতটি নির্বাচন হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে। এই সাতটি নির্বাচন খুব বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ নির্বাচনগুলোতে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের ক্ষমতাই পাকাপোক্ত হয়েছে। আর যে চারটি নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে প্রতিটিতে ক্ষমতার রদবদল হয়েছে। সাতটি নির্বাচন ছিল বিতর্কিত এবং সর্বশেষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ব্যর্থ নির্বাচন। ২০২৩ বা ২০২৪ সালে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তার থেকে ব্যতিক্রম হবে তা আশা করাও দুরাশা। জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এ সমস্যার টেকসই সমাধান বের করতে হবে। এক্ষেত্রে সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করি, তাহলে সহিংসতা অনিবার্য। এটি আমাদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার করে ফেলবে।

রাজনীতিবিদরা প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে, তারা মানুষের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করবে, এটি আমাদের আকাঙ্ক্ষা। আমাদের প্রত্যাশা হলো—আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তারা সমস্যার সমাধান করবে রাজপথে সহিংসতার মাধ্যমে নয়। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা সেই প্রজ্ঞা ও মানসিকতা পোষণ করছেন না, যা খুবই দুঃখজনক।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধান ক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

আপেল বাগান দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষের ভীড়

জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হালিমার

আম কুড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

কর্ণফুলীর বালুচরে সবুজের বিপ্লব

বেড়া পাউবো / ৩৭ কর্মকর্তার বদলির আবেদনে তোলপার

সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ২০ পরিবার

জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

নিউটনের ‘ভয়ংকর’ যৌন নিপীড়নের তথ্য দিল র‍্যাব

১০

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১১

ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

১২

ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন

১৩

ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক কোপাল প্রতিপক্ষরা

১৪

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম

১৫

অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি

১৬

মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

১৭

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

১৮

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস

১৯

পৃথিবীর যে স্থানে কেউ যেতে পারে না

২০
X