আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের ব্যস্ততম সড়কে একটি গাড়িকে নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লেবাননের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, লেবাননেরে রাজধানী বৈরুতে একটি ব্যস্ত মহাসড়কে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বৈরুত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার (৮ মাইল) দক্ষিণে খালদেহ এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, এই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
লেবাননের রাজধানীর কাছাকাছি এলাকায় বোমা হামলা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা। গত বছরের নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিন লেবাননে হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচায় আদ্রায়ি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনী একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচারে জড়িত এবং ইসরায়েলি সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।
আল জাজিরা জানিয়েছে, আদ্রায়ি যে হামলার কথা উল্লেখ করেছেন তা বৈরুতের দক্ষিণে গাড়িতে চালানো ড্রোন হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে সরাসরি ও উসকানিমূলক হামলা চালায়। এতে ইরানের উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে যুদ্ধে প্রবেশ করে। ইরান এ আচরণকে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে আসছে।
এসব হামলার জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনায় এবং কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়।
এরপর দুই দেশের মধ্যে ২৪ জুন ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে চূড়ান্তভাবে সম্মতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি ১২ ঘণ্টা ধরে চলবে, এরপরই যুদ্ধকে সমাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’
ট্রাম্প আরও জানান, প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, এরপর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে এতে যোগ দেবে। মোট ২৪ ঘণ্টা পর এই ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বিশ্বব্যাপী সমাপ্ত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
তিনি লেখেন, যুদ্ধবিরতির সময় দুপক্ষই শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখবে। আমরা ধরে নিচ্ছি, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে—যা অবশ্যই হবে। এ জন্য আমি ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশকে সাহস, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার জন্য অভিনন্দন জানাই।
মন্তব্য করুন