শ্রীলঙ্কার মাটিতে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের ধারালো বোলিংয়ে স্বাগতিকদের ২৪৭ রানে থামিয়ে দেয় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট হাতেও একসময় পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে ছিল দল। এক উইকেটে দলীয় শতক পার করা বাংলাদেশের হঠাৎ ছন্দপতন শুরু হয় ১০০ রানে পৌঁছানোর পরই।
মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৭টি উইকেট। যা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। ১৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাটিং ইউনিটের এমন ভেঙে পড়া পারফরম্যান্সে শুধু সমর্থকরাই নয়, হতাশ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।
দলের এমন বিপর্যয়ের পেছনে ব্যাটারদের মানসিক দুর্বলতাকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন বোর্ড সভাপতি। তার মতে, ম্যাচের শুরুতে ভালো অবস্থানে থাকা দলটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে একজন সেট ব্যাটার আউট হওয়ার পর বাকিরা চাপ নিতে ব্যর্থ হন।
এমন উইকেটে ব্যাটারদের আরও স্থিরতা ও দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে খেলতে হতো। ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার বদলে অনেকেই হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপে মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে এমন ভেঙে পড়া দৃশ্য। প্রতিপক্ষ বোলারদের সামাল দেওয়ার বদলে আত্মঘাতী ব্যাটিংয়ের প্রবণতা বাড়ছে। শুরুতে ভালো অবস্থান তৈরির পরও মাঝপথে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার মতো আচরণ প্রশ্ন তুলছে ব্যাটারদের ম্যাচ রিডিং এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে।
বিসিবি সভাপতির পর্যবেক্ষণ বলছে, মানসিক শক্তি বাড়ানো এখন সবচেয়ে জরুরি। সামনের ম্যাচগুলোর আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাদা আলোচনা কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসতেও পারে।
বাংলাদেশের হাতে এখনো দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে সিরিজে। লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে হলে শুধু স্কিল নয়, আত্মবিশ্বাস আর চাপ সামাল দেওয়ার মানসিকতা নিয়েও মাঠে নামতে হবে টাইগারদের।
একটা ভালো শুরুর পর পতনের গল্প যদি বারবারই ফিরে আসে, তবে প্রশ্ন উঠবে দলের ভিতটাই কতটা শক্ত? দ্বিতীয় ম্যাচে হয়তো পাওয়া যাবে তার উত্তর।
মন্তব্য করুন