

আমার অন্তঃকরণে খায়েশ জেগেছে এমন এক দুনিয়া কাঁপানো নজির বৃষ্টি করার, যাতে আমি হবো ধরণীর হতভম্ব। যেন ভুবনবাসী হতবাক হয়ে আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়। যা হবে দুর্দান্ত ঘটনা, কারণ আমি গুগল অন্বেষণ করে অনুভব করলাম, প্রাক্তনে সংবাদপত্র নিরবচ্ছিন্নতার ঘটা সত্বেও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সংবাদপত্র দখল সূত্রে অধিকারী হওয়ার কাণ্ড কখনো হয়নি। বিশ্ব এবং গুগল বিশেষজ্ঞ জল্পনা করেন - গিনিজ বুক আমাকে হাত নেড়ে উপস্থিত হতে সংকেত করছে। উপরন্তু সুযোগের উপযুক্ত ব্যবহার সমন্ধে কবি কুনিল পঙ্গোপাধ্যায় বলেন - প্রতিটি প্রাণীর সুযোগের সঙ্গে সম্পর্ক করা উচিত। অন্যদিকে বিশিষ্ট আইনজীবী কুতকুতির রহমান আমাকে জানান - উনিশশত কুয়াত্তর সালের ৪২০ কজ্বা রীতি অনুযায়ী খবরের কাগজের অধিপতি হওয়া যায়। তদুপরি আমি এই মওকার অশিষ্ট ব্যবহার করতে সামর্থ্যবান নই।
কথা হইলো লোকে পুষ্কুরিণী, হ্রদ, জলধারা, তরঙ্গিনী, জলনিধি, বায়ুজান বলপূর্বক দখল করে। এমনকি গণশৌচাগার ও বাদ যায় না। এই সময়ে মহাজাগতিক প্রান্তরও অধিকারভুক্তির সূচনা করেছে। এইসব অধিকার করেও প্রশান্তি অনুপস্থিত। মূল হেতু সংবাদপত্র গোলমাল সম্পাদন করে। নামের পূর্ব দিকে তাৎপর্য্যপূর্ণ অসম্মানসূচক শব্দ গ্রাসকারী খেতাব মেখে দেয়। আমার মতো অধিকারকারীদের চরম প্রতিপক্ষ হল পত্রিকা, সেকারণে স্বয়ং বৃহৎ একটি সমাচার অধিকার করব। কোনো একটি অধিগ্রহণ করলে অন্যরা ভয় অনুভব করবে। সবাই ভেবে দেখবে, ফিসফাস করলে তারটাও নিজের করে নেব।
আমার আর তর সইছে না। যা হোক ইনিয়ে বিনিয়ে না বলে, ডাইরেক্ট একশন মুড সহযোগে বিশদ বলছি - এই ভূখণ্ডে প্রাক্কালে একটা নির্দিষ্ট দল শাসনভার পেত। বিগত এক বছর বহুদল যুগপৎ আধিপত্যে। কাজেই দুনিয়া আনন্দময় যার মনে যেমনে লয়। এই দরুন এ সময়ে যেমন খুশি তেমন সাজার উপযুক্ত ক্ষণ। ঘটনা আমিই ঘটিয়ে ছাড়ব, দোষের ভাগীদার করা হবে অপর সকলকেও।
যারা আমার অল্প বাচন বোঝে না, এই হেতু তারা আমার মতোন গণ্যমান্য জঘন্য হইতে সমর্থ হননি। ওরা মাথা শুন্য রয়ে গেল। এবার ঘিলুতে টুকে নেন। ভরসা দিচ্ছি উত্তরকালে এ পণ্ডিতম্মন্য মস্ত কাজে আসবেই। আপনারা হয়তো জানেন না, এই ভূমি এই সময়ে বহু ক্ষেত্রে সব সম্ভবের স্থান। এস্থানে অনেক ক্ষেত্রে এখন যার লাঠি তার মাটি।
এবার আমার কসকসে টাকা কড়ি ইনকাম করার প্রক্রিয়া সকলকে সচেতনভাবে জানাচ্ছি। নোট করুন : অবিচলিত থাকার জন্য কুলিং অয়েল প্রয়োগ করবেন। আমি আড়ালে আবডালে পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র অলংকৃত করেছি। আমি হবো মহানায়ক। রেহাই : ধরা এবং গুগল পারদর্শীদের রায় অনুযায়ী আমি এ সংবাদপত্র অধিকারভুক্ত করছি, এই কারণে এখানে আমার কোনো কলঙ্ক নাই হিসেবে গণ্য হবে। এবার কাহিনি বিন্যাস বলছি : আমার ভবিষ্যৎ মালিকানাধীন পত্রিকাটির অবলা সম্পাদক, ওরা বড় শিল্প গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন থেকে অগণিত কর্মচারীর মাহিনা পরিশোধ করে না। পত্রিকাটি যাদের প্রতিকূল সংবাদ ও কার্টুন চাপিয়েছে, তাদেরও আমার দলে অন্তর্ভুক্ত করব। কাজেই সুপার গ্লুয়ের মতো স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট এর দোসর সিল গায়ে সহজেই লেপটে দিতে পারব। আমার উদ্দেশ্য চেতনা বা অচেতন নয়, বরং আমার পকেটের ফায়দা। তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি আপন করে নেওয়া, নানা বজং বাজং জাতিকে বুঝিয়ে টাকা উপার্জনের ফন্দিফিকির করা আরকি।
বলবান সব রাজনৈতিক দল, ডিপেন্স বাহিনী হতে আমার মত উচ্চাশী ধীমান একজন করে নেব। কুচক্কুরে, গ্রাস বিশেষভাবে অজ্ঞ এবং প্রথম শ্রেণীর খাদক হলে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। সুযোগের অভাবে সৎ হলেও নেওয়া যেতে পারে।
গ্রাসকে জনগণের ক্রাশ করতে, এদেশের বিভিন্ন সাংবাদিকদের সংগঠন হতে, সমভাবাপন্ন একজন করে আমার মত পরম জ্ঞানবান নিয়ে সম্পাদকীয় বোর্ড গঠন করে দেশবাসীকে হৃদয়ঙ্গম করাবো যে আমি এ পত্রিকার অগ্রগমনে কাজ করছি। এ দৈনিকের বর্তমান সম্পাদকের নাম নির্বাপিত করতে, এ অদ্বিতীয় চাল ফটাৎ করে বাস্তব হবে বলে মনে করি।
সংবাদপত্রটির অনলাইন পোর্টাল দখলে নিব। দখলবাজি কে জায়েজ করতে প্রথমেই লিখে দিব এ পত্রিকা র, মোসাদ, আইএসআই বা অন্য কোন দেশের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর এজেন্ট ইত্যাদি।
সংবাদপত্রটি আমার বিরুদ্ধে মামলা করার পূর্বেই তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা দেব। তাহলে দেশবাসী বুঝে নিবে তারা অপরাধী। চাকরিজীবীদের মধ্যেকার যারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সংখুব্ধ, তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করব বলে মুরগি বানাবো আর কি। কর্মচারীদের দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করাবো, তারা বলবে আমরা প্রচুর টাকা পাব। এ সুযোগে আমরা তাদের বেতন আদায় করে দেওয়ার নামে ৫০ শতাংশ টাকা মাত্র কমিশন আদায় করব। অবশ্য কমিশন বলবো না, বলব সার্ভিস চার্জ। কমিশন তো আবার হারাম।
বিভিন্ন সিস্ট বা আচার দেখিয়ে, যেমন দালাল, মানে এখন মার্কেটে যেটা চলছে আরকি, এসব বলে কিছু কর্তৃপক্ষের আস্থাভাজন পুরোনো নিষ্ঠাবান কর্মচারীকে চাকরি হতে বরখাস্ত করব। অতঃপর সম পরিমাণ আমার মত বুদ্ধিমান কর্মচারী নিয়োগ দিব। জন প্রতি মোটা অংকের সম্মানী নেব। সম্মানী দিতে না চাইলে তাদেরকে লোভনীয় অফার দিব, যেমন প্রকৃত সাংবাদিকতা করতে হবে না, পত্রিকায় রিপোর্ট করার নামে জনসাধারণ থেকে সম্মানী নিয়ে পকেট ভর্তি করার লাইসেন্স বা স্বাধীনতা দিয়ে দিব।
অনলাইন বিজ্ঞাপনের গুগল এডসেন্সের ডলার ইনকামের অ্যাকাউন্ট নম্বর পাল্টিয়ে আমার অ্যাকাউন্ট নম্বর নম্বর যুক্ত করে দিব। আর টাটকা কচকচে ডলার আমার একাউন্টে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো প্রবেশ করা অব্যাহত থাকবে।
অনলাইনে নিরর্থক নিউজ অধিকতর করব, প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্য্যায় হতেও কন্ট্রিবিউটিং প্রতিনিধি নাম দিয়ে তাদের থেকেও মানহীন লেখা নিয়ে অনলাইনে প্রতি সেকেন্ডে কয়েকটা নিউজ পোস্ট দিব। তবে এবার ডলার ডুববে সুপারসনিক গতিতে। বিজ্ঞাপন পি তিনগুণ করে দিব। বিজ্ঞাপন বাবদ গ্রহণকৃত এক টাকাও অফিসে জমা দিবোনা, টাকা নিজ একাউন্টে জমা রাখবো, অ্যাকাউন্ট ভর্তি হয়ে গেলে বিদেশেও পাচার করব। অপরাধবোধে আচ্ছন্ন হয়ে হীনমন্যতা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন মূল মালিকপক্ষকে দালাল, বিভিন্ন এজেন্ট ইত্যাদি তকমা দিয়ে একটি করে অনলাইন ও ছাপানো পত্রিকায় সংবাদ ধরে রাখবো। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার, দালাল ও বিভিন্ন এজেন্ট তকমা দিয়ে ঢের তসবিহ জপতে থাকবো। যেন ঘুমের ঘোরে এবং কল্পনা জগতেও জপতে পারি। মালিকের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা তৈরি হলে, তাদের সাড়ে চৌদ্দ গুষ্টিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। এই মুহূর্ত থেকে এ সংবাদপত্রে টাকা ব্যতীত কোন নিউজ প্রকাশ হবে না, এ অকথিত নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর হবে। মুদ্রণ জনিত বকেয়া এবং নতুন কোন বিল পরিশোধ করা হবে না।
এ সুবর্ণ সুযোগের সৎ ব্যবহার করব। যেমন আমি হাঁচি কাশি দিলে বা সর্দি জ্বর হলে ও প্রথম পাতায় নিজেকে বিখ্যাত ব্যক্তি স্বীকৃতি দিয়ে দেশবাসীর নিকট দোয়া বুঝে নেব। নিজেকে বিশাল দেশপ্রেমিক পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন একটি করে নিউজ করব। আমি জীবনে কোনদিন জাতীয় দৈনিকে কলাম লেখা তো দূরের কথা, একটা প্রেম পত্র লেখার যোগ্যতা না থাকলেও, খিস্তি খেউড় ভাষা ব্যবহার করে হলেও সম্পাদকীয় পাতায় মতামত কলামে নিজ নামে প্রতিদিন লেখা পাবলিস্ট করব। আর যদি তাও না পারি চৌর্যবৃত্তি করব, ধরা পড়ে গেলে মূল রচয়িতাকে চোর তকমা দিয়ে দিব, বিপরীতে জানাবো সে আমার লেখা চুরি করেছে। প্রয়োজনে সুনামহানি মামলা করে দিব।
আমি জীবনে কোনোদিন বেনাপোল, তামাবিল বা অন্যকোনো সীমান্তে না গেলেও নিজেকে বহুজাতিক বক্তা স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিদিন নিজ নামে পত্রিকায় হেডিং করে দিব। অবস্থা বেগতিক হয়ে দুনিয়া কাঁপানো প্রতিবাদের ঝড় ঝাপটা ঘূর্ণিঝড় টর্নেডো প্রবাহিত হলে, এ সংবাদপত্রের বৈধ সম্পাদক কে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বলবো, এই বলে ভিডিও রেকর্ড করে পাঠাতে হবে যে, আমাদের মধ্যে খুনসুটি হয়েছে মাএ, আমরা এখন একেবারে মিলেমিশে ফেভিকল আঠারোর মতো মজবুত জোড়া লেগে গেছি।
আমার উপর আকাশ ভেঙে পড়া কথাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো - অনেকে ভাবছেন এক সংবাদপত্র আরেক সংবাদপত্রের মাসতুতো ভাই, সব সংবাদপত্র একত্র হয়ে আমার ষষ্ঠী গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়বে। এ বিষয়ে আমি বাক স্বাধীনতা প্রয়োগ করে বলতে চাই, প্রকৃতি মুক্ত স্থান পছন্দ করে না, কারো না কারো দখলে থাকতে হয়। আমার মত আপনিও পকেট এর পূর্ণতা নিয়ে গানটি শুনবেন, আর্টসেল গেয়েছে, ‘আর নয় সময় উদ্দেশ্যহীন মিছিলে/তুমি সেই পূর্ণতা আমার অনুভবে’।
বাকরুদ্ধ, বিষয়-আশয়, কানুন, নেটওয়ার্কিং সাইট, দুষ্ট আত্মা ও অপ্রকাশিতবিষয়ক পন্ডিত মিস্টার পাটকেল আমার প্রতি উচ্চারণ করেন - এখানকার প্রায় সকল প্রজা বিড়বিড় করছে যে, এই ভূমির সব খবরের কাগজ আপন বিষয় আশয়, আমি প্রাইভেট ঐশ্বর্য্য আয়ত্ত করলে আমার প্রতিকূলে আর্জি সম্পন্ন হবে। জনসাধারণ এটি অনুভব করছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার প্রতি ঝড়-ঝাপটা, সাইক্লোন ও টর্নেডো প্রবাহিত করবেন। জনতা এটিও তাচ্ছিল্য করে কল্পনা করছেন যে ইবলিশ শয়তান ও আমার ফন্দির নিকট অকৃতকার্য্য, কারণ মহাশয় অশুভ শক্তির বিবেচনায়ও এটি অগ্রে অনুপস্থিত ছিল। যদি ঘিলুতে আসতো, মহাশয় সন্দেহাতীত ভাবে যেকোনো একজনকে দিয়ে এই উদ্যোগ সিদ্ধি লাভ করাতেন। আমি এই মুহূর্তে প্রফুল্ল, মাননীয় ডেভিল হতেও অগ্রজ হয়ে পড়ছি।
অনেকে খুব ভাবছেন সংবাদপত্র হল রাষ্ট্রের চারটি অঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন অঙ্গ। সাংবাদিকতা হলো পৃথিবীর অন্যতম মহান পেশা। রাষ্ট্রীয় কর্তা ব্যক্তিগণ যখন নিরাপত্তা চাদরে নিজেদের ঢেকে রাখেন, জনগণ তখন তাদের নিকট পৌঁছাতে পারে না। এ সাংবাদিকরাই সকল অসঙ্গতি তুলে ধরে এদেশের প্রকৃত রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কামনা করেন, আমি যেন এই সর্বনাশা কাজ এখনই বন্ধ করি। আপনারা অনেকে খুব আইন মান্যকারী হয়ে এও-ভাবছেন, এ সংবাদপত্র ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারের দালালের দোসর হলে, এমনকি কর্মচারীদের বেতন যথারীতি প্রদান করা না হলে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে মামলা করা যেতে পারে। এগুলো নিয়ে বিচার করার আমি কে ? আমি যা করছি এটা অবিচার এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- ব্যতীত আর কিছুই নয়। সব শুনে পরিশেষে অনেকে ভাবছেন চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদী, আর এদেশের দুঃখ আমাদের মত দখলবাজ থাকে যদি।
অবশেষে বর্তমান সময়ের দখল নিয়ে কবিতাটি লিখে এ নিবন্ধের ইতি টানছে :
অপরের দখল ধকল সইবো কত আর, সর্বত্র জবরদখল দাপুটে কারবার। বাস-ট্রাক, রেল-লেক, লঞ্চ-টার্মিনাল, বাজার-মাজার, পাহাড়-পর্বত, খাল। মাঠ-ঘাট, পার্ক, অফিস-আদালত, স্বাধীনতা-সংগ্রাম, যত চিন্তা-মত। অন্দর-বন্দর, ঘর- বাড়ি, ঘরের বৌ, সর্বত্রই শোনা যায় গুয়ে মাছির ভোঁ। সবদিকে লুটপাট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, কেড়ে নিচ্ছে মুখের আহার, দিচ্ছে হুতামা। পাচ্ছে না রেহাই মসজিদ-মাদ্রাসা, কবর-চিতা। তাইতো আমি সংবাদপত্র দখল করে, যেন হতে পারি দখলবাজদের পিতা।
লেখক : ড. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক এবং প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল।
মন্তব্য করুন