কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণায় চিফ প্রসিকিউটরের প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এ মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের কাছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত সুবিবেচনা প্রয়োগ করবেন। তবে আমাদের পক্ষ থেকে প্রেয়ার হচ্ছে যে, এই অপরাধের দায়ে আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেন।

ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। গত ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

জবির ভর্তি পরীক্ষা : আঞ্চলিক কেন্দ্রে নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা

চট্টগ্রামে মোড়ে মোড়ে বিএনপির অবস্থান

হাসপাতালে হাসান মাসুদ, দুই সপ্তাহ ধরে চলছে চিকিৎসা

অস্ত্রসহ আ.লীগের তিন কর্মী গ্রেপ্তার

১৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন, অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের ১২ খ্যাতনামা আলেম

৪৯তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম পঞ্চগড়ের আবু তালেব

উসকানি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা : চিফ প্রসিকিউটর

ছাত্রলীগের ছয় কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন 

১০

হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণায় চিফ প্রসিকিউটরের প্রতিক্রিয়া

১১

ভারতের কাছে স্বর্ণের লড়াই হেরে গেল বাংলাদেশ

১২

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১৩

প্রাণহানি রোধে মেহেরপুরে সুইমিংপুলের উদ্বোধন

১৪

ধানের শীষের প্রার্থিতা দাবি করা সেই রিয়াজুল হাসপাতালে ভর্তি

১৫

পেরুতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭

১৬

সাংবাদিককে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ নেইমারের

১৭

যশোরে বাসে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বস্তিবাসী

১৮

ফেনীতে গাছ কেটে রেলপথে নাশকতার চেষ্টা

১৯

ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক চাঙ্গা রাখার ‘ফর্মুলা’ জানালেন ভিকি

২০
X