

বাংলাদেশের ফুটবল আজ এক ব্যস্ত দিনে প্রবেশ করেছে। সকাল থেকে সিলেটে চলছে টেস্ট ম্যাচ, বিকেলে হকির উত্তাপ—আর রাতে সেই আবহে যোগ হচ্ছে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ। জাতীয় দলের এই ম্যাচটিকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে, কারণ অনেক দিন পর অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ফিরেছেন দলে, আর কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা আবারও একাদশে চমক রেখেছেন।
নেপালের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে নেই সামিত সোম। কানাডা থেকে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে দুই দিন আগে ঢাকায় পৌঁছানো তরুণ এই ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। আগেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি—গত অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সামিতকে প্রথম একাদশে রাখেননি। এবারও সেই একই কৌশল নিয়েছেন ক্যাবরেরা।
গোলপোস্টে থাকছেন মিতুল মারমা, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। রক্ষণভাগে তারিক কাজী ও তপু বর্মণের জুটি ধরে রেখেছেন কোচ, আর দুই পাশে দেখা যাবে অভিজ্ঞ সাদ উদ্দিন ও প্রবাসী তরুণ জায়ান আহমেদকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ফুটবলার হংকংয়ের বিপক্ষে বদলি নেমে আলো ছড়িয়েছিলেন, তারপর অ্যাওয়ে ম্যাচেও সুযোগ পেয়েছিলেন। এবার প্রীতি ম্যাচেও তার ওপর ভরসা রেখেছেন ক্যাবরেরা।
সাদের নামটি সবসময়ই আলোচনায় থাকে—অভিজ্ঞ হলেও তার ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া করার নজির রয়েছে। সমালোচনা থেমে থাকেনি, কিন্তু কোচের আস্থা কমেনি একটুও। মিডফিল্ডে সাদের সঙ্গী হচ্ছেন ফেরত আসা জামাল ভূঁইয়া, সঙ্গে আছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী এবং দুই সোহেল রানা। ইনজুরিতে থাকা শেখ মোরসালিনের জায়গায় কিউবা মিচেলকে খেলানোর আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে একাদশে রাখেননি কোচ।
আক্রমণভাগে আছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন—দুজনই বর্তমানে জাতীয় দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফরোয়ার্ড।
আজ রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যখন রেফারির বাঁশি বাজবে, বাংলাদেশের নতুন রণকৌশল ও নতুন মুখগুলোই নজর কাড়বে সবার আগে। সামিতের অনুপস্থিতি হয়তো প্রশ্ন তুলবে; কিন্তু জায়ান ও সাদের দায়িত্ব থাকবে সেই উত্তরটা মাঠেই দেওয়ার।
বাংলাদেশের একাদশ: মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, জায়ান আহমেদ, জামাল ভূঁইয়া (অধিনায়ক), হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা, মো. সোহেল রানা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন।
মন্তব্য করুন