

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হতেই যেন ফলাফল প্রায় নিশ্চিত—বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের দরজায়, আর আয়ারল্যান্ড রীতিমতো হোঁচট খাচ্ছে ঘূর্ণির জালে। ৩০১ রানের বিশাল লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করার পর টাইগার স্পিনাররা এমন আগুনে বোলিং করলেন, যে দিন শেষে অতিথিদের বোর্ডে কেবল ৮৬ রানেই অর্ধেক দল প্যাভিলিয়নে।
এর আগে ব্যাট হাতে যেন ছিল বাংলাদেশের উৎসব। প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ব্যাটাররা রচনা করেছেন আধিপত্যের এক অনন্য অধ্যায়।
ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় খেলেছেন এক অনবদ্য ১৭১ রানের ইনিংস, তার সঙ্গে সাদমান ইসলামের ৮০, শান্তর ১০০ ও মুমিনুল হকের ৮২ রানের ঝলক যোগ হয় সেই রানে।
লিটন দাসও থেমেছেন ৬০ রানে, অথচ তার ব্যাটেও ছিল আক্রমণাত্মক ছোঁয়া। দলীয় ৫৪৫ রানে শান্ত ফিরে গেলে বাংলাদেশের ঘোষণার অপেক্ষা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
টি-বিরতির পরপরই ঘোষণা আসে—৫৮৭/৮, লিড তখন ৩০১ রানের। এরপর শুরু হয় স্পিনের ছড়াছড়ি।
দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা যেন হারিয়ে ফেলেন পথ। তাইজুল ইসলাম, হাসান মুরাদ ও মিরাজের ঘূর্ণি সামলানো তাদের কাছে হয়ে উঠেছিল প্রায় অসম্ভব।
মিরাজ ২৯ রানে ১ উইকেট, মুরাদ ৮ রানে ২ উইকেট, আর তাইজুল ২৯ রানে ১ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিনের আলো নিভে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশকে এনে দেন জয় ঘনিয়ে আসার ইঙ্গিত।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে একমাত্র প্রতিরোধ গড়েছিলেন পল স্টার্লিং। ৫৯ বলে তার ৪৩ রানের ইনিংস কিছুটা মর্যাদা রক্ষা করে, কিন্তু বাকিরা যেন আত্মসমর্পণই করলেন—কর্মাইকেল ৫, টেক্টর ১৮, ক্যাম্ফার ৫ ও লরকান টাকার ৯ রানে ফিরেছেন।
দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৮৬/৫, আর পিছিয়ে ২১৫ রানে।
মাঠে এখন লড়ছেন ম্যাকব্রাইন (৪*) ও হামফ্রিস (০*), সামনে পাহাড়সম দায়িত্ব—দিন বাঁচানো, বা অন্তত লড়াইয়ের ভান রাখার চেষ্টা।
বাংলাদেশের লক্ষ্য পরিষ্কার—চতুর্থ দিনে যত দ্রুত সম্ভব ইনিংস ও বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করা।
মন্তব্য করুন