

একটি জাতির টেকসই অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি তার তরুণ সমাজ—এ সত্য ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে। পরিশ্রম, সততা ও নেতৃত্বগুণে বলীয়ান তরুণরাই পারে একটি দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।
আর এ তরুণ শক্তিকে সঙ্গে নিয়েই একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, যে কোনো সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্য, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখাই গণতান্ত্রিক সমাজের অন্যতম ভিত্তি। শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা কেবল রাষ্ট্রের একক দায়িত্ব নয়; এটি সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের সম্মিলিত দায়বদ্ধতা। একজন মা যেমন সন্তানের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন, তেমনি দেশের প্রতিটি নাগরিক প্রত্যাশা করে একটি নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য রাষ্ট্রব্যবস্থা।
তারেক রহমান দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, সকল ধর্ম, শ্রেণি ও পেশার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ নতুন বাংলাদেশ গড়াই তাদের রাজনৈতিক প্রত্যয়। এই অঙ্গীকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবিক ও সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্রচিন্তারই প্রতিফলন। তার বক্তব্যে উঠে আসে অতীতের বেদনাবিধুর অধ্যায়ও।
বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত গুম, খুন ও নিপীড়নের ঘটনাগুলো জাতির বিবেককে আজও নাড়া দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই দুঃখজনক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো নাগরিক অন্যায়ের শিকার না হন—এটাই হওয়া উচিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধাই পারে সমাজের ক্ষত সারিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে।
এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত থাকার পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনেকের কাছে এটি আবেগ ও স্মৃতির প্রত্যাবর্তন, আবার অনেকের কাছে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা। তবে যে দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিষয়টি মূল্যায়ন করা হোক না কেন, তিনি রাজনৈতিক সহনশীলতা, সংযম ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারেক রহমান বলেন, মত ও পথের ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব। বিভাজন নয়, ঐক্য। প্রতিহিংসা নয়, সহমর্মিতা। বিশৃঙ্খলা নয়, শান্তি। অস্থিরতা নয়, স্থিতিশীলতার চর্চাই পারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে।
লেখক : যুগ্মপরিচালক, তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন