দৈনিক কালবেলায় ৪ নভেম্বর (শনিবার) ‘তাপমাত্রা কমাতে গাছ লাগিয়ে দায় শেষ ডিএনসিসির’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
সেকান্দার মানিক : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি বসবাস অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বায়ুদূষণের নগর হিসেবে ইতিমধ্যে ঢাকা পরিচিতি লাভ করেছে। বায়ুদূষণের পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ঢাকায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ঢাকাকে বাসযোগ্য করা এবং তাপমাত্রা কমিয়ে আনার জন্য উত্তর সিটি করপোরেশন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়, যা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু শুধু বৃক্ষরোপণ করলে তাপমাত্রা কমবে না। উন্নয়নের নামে যেন পুরনো গাছগুলো না কাটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শহরবাসীকে ছাদবাগান করতে উৎসাহিত করতে হবে। গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সাইকেল এবং হাঁটার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শহরের ভেতর থেকে শিল্প-কলকারখানা সরিয়ে ফেলতে হবে। শহরের আশপাশে ইটের ভাটা বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি লেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রাখতে হবে।
নুর আহমাদ সিদ্দিকী : মেয়র সাহেব এখন ফুরফুরে মেজাজে আছেন। ডেঙ্গুতে এত প্রাণ ঝরছে তাদের কোনো খবর নেই। দেশটাকে যে যেভাবে পারছে লুটে খাচ্ছে। গাছ লাগানো ভালো। তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ভাবা। সেটা না করে দায়সারাভাবে গাছ লাগিয়ে তাপমাত্রা রোধ করার চিন্তা হাস্যকর। দেশে মানুষের দাম নেই, যতটা পশু-পাখির আছে। রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাসীন সবাই ক্ষমতার মোহে অন্ধ। সাধারণ মানুষের কথা ভাববার সময় কোথায়!
সাইদুর রহমান : শুধু গাছ লাগালে হবে না। এগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে ডিএনসিসির। তাহলে গাছগুলো আমাদের কাজে আসবে।
আল ইমরান আনোয়ার : গাছ লাগানো মানে দায়িত্ব শুরু হওয়া। চারারোপণের পর পরিচর্যা করা দায়িত্ব। ডিএনসিসি যদি গাছ লাগিয়ে দায় শেষ মনে করে তাহলে বুঝে নিতে হবে এই বৃক্ষরোপণ নাম মাত্র বৃক্ষরোপণ। কার্যত জীবিত গাছকে গলা টিপে হত্যার শামিল। তাই বলব, বৃক্ষরোপণের পর পরিচর্যার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এ জন্য ডিএনসিসিসহ নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।
মন্তব্য করুন