কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গাছ লাগানোর দায়সারা উদ্যোগে খরচ হলেও মেলে না ফল’

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

দৈনিক কালবেলায় ৪ নভেম্বর (শনিবার) ‘তাপমাত্রা কমাতে গাছ লাগিয়ে দায় শেষ ডিএনসিসির’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।

সেকান্দার মানিক : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি বসবাস অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বায়ুদূষণের নগর হিসেবে ইতিমধ্যে ঢাকা পরিচিতি লাভ করেছে। বায়ুদূষণের পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ঢাকায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ঢাকাকে বাসযোগ্য করা এবং তাপমাত্রা কমিয়ে আনার জন্য উত্তর সিটি করপোরেশন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয়, যা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু শুধু বৃক্ষরোপণ করলে তাপমাত্রা কমবে না। উন্নয়নের নামে যেন পুরনো গাছগুলো না কাটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শহরবাসীকে ছাদবাগান করতে উৎসাহিত করতে হবে। গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সাইকেল এবং হাঁটার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শহরের ভেতর থেকে শিল্প-কলকারখানা সরিয়ে ফেলতে হবে। শহরের আশপাশে ইটের ভাটা বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি লেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রাখতে হবে।

নুর আহমাদ সিদ্দিকী : মেয়র সাহেব এখন ফুরফুরে মেজাজে আছেন। ডেঙ্গুতে এত প্রাণ ঝরছে তাদের কোনো খবর নেই। দেশটাকে যে যেভাবে পারছে লুটে খাচ্ছে। গাছ লাগানো ভালো। তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ভাবা। সেটা না করে দায়সারাভাবে গাছ লাগিয়ে তাপমাত্রা রোধ করার চিন্তা হাস্যকর। দেশে মানুষের দাম নেই, যতটা পশু-পাখির আছে। রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাসীন সবাই ক্ষমতার মোহে অন্ধ। সাধারণ মানুষের কথা ভাববার সময় কোথায়!

সাইদুর রহমান : শুধু গাছ লাগালে হবে না। এগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে ডিএনসিসির। তাহলে গাছগুলো আমাদের কাজে আসবে।

আল ইমরান আনোয়ার : গাছ লাগানো মানে দায়িত্ব শুরু হওয়া। চারারোপণের পর পরিচর্যা করা দায়িত্ব। ডিএনসিসি যদি গাছ লাগিয়ে দায় শেষ মনে করে তাহলে বুঝে নিতে হবে এই বৃক্ষরোপণ নাম মাত্র বৃক্ষরোপণ। কার্যত জীবিত গাছকে গলা টিপে হত্যার শামিল। তাই বলব, বৃক্ষরোপণের পর পরিচর্যার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এ জন্য ডিএনসিসিসহ নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমাদের আদর্শগত শত্রু বিজেপি, বললেন থালাপতি বিজয়

৩৮ বছরের শিক্ষকতা শেষে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় প্রধান শিক্ষককে বিদায়

পাঠ্যবইয়ে শেখ হাসিনার নাম হবে গণহত্যাকারী : আসিফ মাহমুদ

নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা চেষ্টা চলছে : তারেক রহমান

নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ বাংলাদেশি ফুটবলার

অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৮৫ বিলিয়ন ডলারে

জাকসু নির্বাচন, ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নিয়ে আসছে ছাত্রশিবির

ঢাকঢোল পিটিয়ে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার 

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেব’

১০

আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি

১১

মানুষ ভাত পাচ্ছে না আর উপদেষ্টারা হাঁসের মাংস খুঁজতে বের হচ্ছেন : আলাল

১২

বিচারককে ‘ঘুষ’, বারে আইনজীবীর সদস্যপদ স্থগিত

১৩

ট্রাক প্রতীক নিয়ে নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আবু হানিফ 

১৪

শিক্ষককে ছুরি মারা সেই ছাত্রী এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

১৫

নথি সরিয়ে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৬

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা

১৭

আগামী সরকারে থাকবেন কিনা জানালেন ড. ইউনূস

১৮

বাঁশের পাতার নিচে মিলল ৩৭ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর

১৯

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

২০
X