হারুন রশিদ
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উপমহাদেশের পটপরিবর্তন: গণতন্ত্রের পিচ্ছিল পথ

pak-ellection
উপমহাদেশের পটপরিবর্তন: গণতন্ত্রের পিচ্ছিল পথ। ছবি : সৌজন্য

‘পাকিস্তানের মিলিটারি শাসক যদি ১৯৭০ নির্বাচনে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করত তাহলে ‘পাকিস্তান রাষ্ট্র’ ভেঙে যেত না এবং পাকিস্তান বিশ্বের একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হতো। ভুলটা ছিল পাকিস্তানের।’ এই কথাটিই জোরালোভাবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার রাজনৈতিক সভায় একাধিকবার বলেছেন। এমনকি সম্প্রতি জেলে বসে এক টুইট বার্তায় তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সবচেয়ে মজার বিষয়টা হলো এসব ঘটনার জন্য তিনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন।

সেই একই ভুল ১৯৪৭ থেকে ২০২৪, এই ৭৭ বছর ধরে চলমান আছে পাকিস্তানে। ওই একই কারণে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান ১৬ অক্টোবর ১৯৫১ সালে রাওয়ালপিন্ডি পৌরসভা পার্কে সাদ আকবর নামে এক আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। এর পর লারকানার জমিদার জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিলে রাওয়ালপিন্ডির ডিস্ট্রিক্ট জেলে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়।

সেনা শাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ প্রায় দশ বছর দেশ শাসন করেছেন। তাকেও ১৭ আগস্ট ১৯৮৮ সালে অভিনব কায়দায় অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হেলিকপ্টারে টাইম বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ দিতে হয়। সেই হেলিকপ্টারে ছিলেন মার্কিন দূতসহ সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা। ওই হেলিকপ্টারে কেউই জীবিত ছিলেন না। প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলির একমাত্র কন্যা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোও ২৭ ডিসেম্বরে ২০০৭ রাওয়ালপিন্ডির পৌরসভা পার্কে, সভায় যাওয়ার পথে আততায়ী গাড়ি বোমা হামলায় নিহত হয়। এরপরেও পাকিস্তানে পরবর্তী দিনগুলোতে গণতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও দীর্ঘ ছিল।

সামরিক বাহিনীর কারণেই পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ শুরু থেকে (১৬তম) কখনোই পূর্ণ মেয়াদ পালন করতে পারেনি। ৭৭ বছরের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে মেলিটারিরা পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার নেপথ্যে সহযোগী পার্টনার ছিল স্বার্থান্বেষী এবং উচ্চবিলাসী কিছু রাজনৈতিক দল। ভারত পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই, যে সুযোগটি প্রত্যাশা করে আসছিল যাতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পাকিস্তান অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কাঠামোগতভাবে এবং ভৌগোলিকভাবে একটি দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত হোক, সেই সুযোগটি পাকিস্তানের আমলাতান্ত্রিক মিলিটারি এবং সুবিধাবাদি রাজনৈতিক দল, যারা দেশের চেয়ে ক্ষমতাকে বড় করে দেখে, তারাই আজ পাকিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি অস্থিতিশীল নাজুক এবং সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এবং ভারত একাধিকবার তার পছন্দনীয় সেই সুবিধাটি লুফে নিয়েছে।

ভারত একান্তভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে নিজের একক নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। অনেকটা ওঠবস করার মতো। যেমন বলব তেমন করবা। এজন্য ভারত বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, জম্মু-কাশ্মীর এবং বেলুচিস্তানকে নিয়ে জঠিলতার সমীকরণে দীর্ঘদিন ধরে ছক আঁকছে যা চলমান আছে। উল্লেখ্য, আমি ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ দেখেছি। সেই যুদ্ধে বাঙালি সেনাদের প্রশংসনীয় অবদান ছিল। সেই যুদ্ধে পাকিস্তান জিতে যায়। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী রাশিয়ার তাসখন্দে গিয়ে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন।

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে যুদ্ধ থেমে যায়। পাকিস্তান এখানেও ভুল করেছিল। পাকিস্তানের ভুলের সেই বিবরণ লিখতে গেলে তা একটি গ্রন্থে রূপ নেবে। যা হোক, তার পর ১৯৬২ সালে চীনের সাথেও ভারতের যুদ্ধ হয়। এখন পর্যন্ত চীনের সাথে ভারতের শীতল যুদ্ধ লেগেই আছে। ভারত অত্যন্ত কৌশলগত উপায়ে প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোর উপর নিজের প্রভুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে দেশগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। ১৯৪৭ সালে ১৪ ও ১৫ই আগস্ট উপমহাদেশে ‘ভারত ও পাকিস্তান’ নামে দুটি রাষ্ট্র ভূমিষ্টের মাধ্যমে “ভারতবর্ষ” দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পর থেকে, ভারত এটা মেনে নিতে পারেনি। ৮টি দেশ নিয়ে গঠিত সার্ক ফোরাম বা সংস্থার উদ্যোক্তা ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এজন্য সার্ক সংস্থাটিও তার পছন্দের তালিকায় ছিল না।

ভারত তার জন্মলগ্ন থেকে অদ্যাবধি দেশটিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসেনি। এ কারণে ভারত বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে শক্ত অবস্থানে আছে। সিকিমসহ ৩০টি রাজ্য নিয়ে ভারত রাষ্ট্র গঠিত। আমি ১৯১৪ সালে ভারতে এক মাস ভ্রমণ করে দেখেছি ওদের দেশপ্রেম কতটা উঁচুস্তরে, তা দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। মাদ্রাজ, বেঙ্গালুর, মাহীসুর, কলকাতাসহ ৮টি রাজ্য দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। ভারতের শিক্ষিত মানুষরাও সাধারণ মানের জীবনযাপনে অভ্যস্ত, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এবং একাধিক ভাষায় কথা বলা এমন একটি জাতি কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে টিকে আছে তা প্রশংসার দাবিদার। এখন পর্যন্ত ভারতের একটি রাজ্যও আলাদা হয়নি, বরং লেন্দুপ দর্জির ‘সিকিম’ ভারতের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের গণতন্ত্রের চেহারা আমরা দেখেছি। ৩ শ পৃষ্ঠার গ্রন্থ “গণতন্ত্রের বেহাল দশা” অনন্যা প্রকাশনা থেকে বইটি বের হয়। ওই গ্রন্থে তা আমি উল্লেখ করেছি। পাকিস্তানে ৯ ফেব্রুয়ারিতে জিতে থাকা পিটিআইও সরকার গঠন করতে পারবেন না।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দলের না থাকার অর্থই হলো দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি আবারও গুরুতর সংকটের দিকে যাচ্ছে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেও ক্যারিশমাটিক নেতা ইমরান খানের বিজয়কে থামিয়ে দিয়েছে পর্দার আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়া সেনাবাহিনী, সাথে আছে রাজনীতির সুবিধাবাদী চক্র নেওয়াজ মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টি বিলাওয়াল ভুট্টো। তাদের কাছে দেশ জাহান্নামে যাক সেটা কোনো বিষয় না, বিষয়টা হলো আমার ক্ষমতা দরকার সেটা সেনাবাহিনীর আশীর্বাদে হোক বা পশ্চিমা বলয়ের আশীর্বাদে হোক। তবে ইমরান খানের ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসাটা উত্তরাধিকার সূত্রে নয়, নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যে সত্যবাদিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে পেরেছিল।

পরিবার তন্ত্রের বাইরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি পরিবর্তন আনার যে ধারা সে সৃষ্টি করতে পেরেছিল তা প্রশংসার দাবিদার । তার অতীত ইতিহাস ‘হার না মানার’ ইতিহাস। ১৯৯২ সালে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে থামিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের মাথায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরিয়ে দিয়ে অতি গর্বের হাসি তার মতো দলনেতাকেই মানায়।

ইমরান খানের অতীত ইতিহাসে মানবহিতৈষী অনেক ঘটনা যা রূপকথার মতো মনে হলেও তা বাস্তবতার সাক্ষী হিসেবে দেদীপ্যমান। ১৯৯৬ সালে তার রাজনৈতিক অভিষেক শুরু হয় ‘পিটিআই’ নামে রাজনৈতিক দল গঠনের মাধ্যমে। তারপর ১৯১৮ সালে প্রথম ক্ষমতার হাল ধরা, আবার চার বছরের মাথায় ১৯২২ সালে বিরোধী দলের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো এবং তার বিরুদ্ধে ১১৪টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা থেকে শুরু করে তার বৈবাহিক জীবন নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ কাহিনি তৈরি করা, ইত্যাদি হেন কাজ বাকি নেই যা তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তি এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ‘ডন' এবং 'জিউ' টিবি তুলে ধরেছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এবং বিবিসি এবং পশ্চিমা বলয়ের গণমাধ্যমেও এসব কথা এসেছে। ভূ-রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে দাঁড়াক, এটা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী বিশ্বাসঘাতকরা চায় না।

এসব দুষ্ট চক্র সবসময় উপমহাদেশে অর্থের বিনিময়ে দেশের স্বার্থের বিপরীতে কাজ করেছে এবং প্রচুর অর্থ লুণ্ঠনের ইতিহাস পাকিস্তানের জনগণ জানে। মানবজাতি নিয়ে একটা প্রবাদ বাক্য আছে, মানুষ কখন হিংস্র পশুর চেয়ে খারাপ হয়, যখন তাকে অর্থের নেশায় পেয়ে বসে। আবার মহাজ্ঞানীরা এটাও বলেছেন, গরুর রচনা পড়া হয়েছে এখনো মানুষের রচনা পড়া হয়নি। এটা পাঠ্যবইতে থাকা উচিত ছিল। মানুষ কত প্রকার কি কি, তাদের চরিত্র বৈশিষ্ট্য কেমন- তারা কি চায়, কতটুকু পেলে তারা সন্তুষ্ট, আদৌ তাদের চাহিদার শেষ আছে কি না, ইত্যাদি ইত্যাদি....!!!

স্রষ্টার সৃষ্টি জগতে ৮৪ লাখ প্রাণীর বাস। একমাত্র মানুষেরই পেট ভরে না, চাহিদারও তার শেষ নাই। তাই মহা প্রভু আগাম নোটিশ দিয়ে রেখেছে পবিত্র গ্রন্থে আল কোরআনে- একমাত্র মানুষকেই কঠোরভাবে পাকড়াও করা হবে শেষ বিচারের দিনে।

পরিশেষে বলি, পাকিস্তানের গণতন্ত্র এখনো অধরা এবং গণতন্ত্রের পথ পিচ্ছিল কাদায় পরিপূর্ণ। তাই এপথ পাড়ি দিতে হলে আমাদের মতো বুড়ো মানুষগুলো দিয়ে হবে না। কারণ রাজনীতিতে তারা শেষ হিসাবটুকুও কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নিতে চায়। রাজনীতির হাটে এরাই চড়া মূল্যে বিক্রি হয়। বিক্রি হয় এদের ঈমান আকিদা বা বিশ্বাস। এখন প্রয়োজন তারুণ্যে উজ্জীবিত তরুণ ও যুবসমাজের। যুগে যুগে তার প্রমাণও আমরা দেখেছি ইতিহাসের পাতায় কবিতায় আর রচনায়। তারাই পারে পরিবার, দেশ ও সমাজকে বদলে দিতে। মানুষ এখন অধীর আগ্রহে একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতার দিকে তাকিয়ে আছে কখন তার আবির্ভাব ঘটবে।

হারুন রশিদ : গ্রন্থকার, গবেষক ও রাজনৈতিক-বিশ্লেষক

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : আমিনুল হক

ঢাকায় উদযাপিত হলো রাশিয়ান পতাকা দিবস

একাদশে ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থী পায়নি ৩৭৮ কলেজ

৫০ হাজারে শ্লীলতাহানির রফাদফা করলেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষক

১০

কে বেশি টাকা দেয়, ফেসবুক নাকি ইউটিউব

১১

অর্ধ বিলিয়ন জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

১২

মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে থানায় জিডি মহানগর বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের

১৩

চাকরির নামে প্রতারণা, আমেরিকা প্রবাসী আটক 

১৪

শর্ত না মানলে ধ্বংস হবে গাজা সিটি : ইসরায়েল

১৫

নতুন করিডোর প্রকল্প শুরু করতে চায় চীন-পাকিস্তান

১৬

থানা হাজতে যুবকের মৃত্যু, এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

১৭

চবিতে নিলস-সিইউ পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা শনিবার

১৮

জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন হয়নি, কারণ জানাল পুলিশ

১৯

বাদশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি মেয়র শাহাদাতের 

২০
X