আলী আনুজলা
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা যুদ্ধ নিয়ে আরব শিক্ষার্থীরা চুপ কেন?

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংসতার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংসতার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ছবি : সংগৃহীত

প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভে উত্তাল বিশ্ব। তার সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্ত হয়েছে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

গত ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্রতিদিনই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এ বিক্ষোভ ক্রমেই সংগঠিত রূপ পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলন ১৯৬০ এবং ১৯৭০ সালে আলজেরিয়া ও ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ই কেবল দেখা গিয়েছিল।

এবার শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের শুরুটা হয়েছে প্রথমে অমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট’ ওই বিক্ষোভের আয়োজক। গত ১৭ এপ্রিল সংগঠনটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়টির আঙিনায় তাবু গেড়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। তাদের ওই কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ফলে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। পুলিশি বাধায় ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য শিক্ষার্থী এবং ফ্যাকাল্টি সদস্যরাও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এ কারণে, ওই কর্মসূচি অনেকটা অ্যামেরিকান ‘হাইড পার্কে’ রূপ নেয়। নিজেদের মধ্যে কখনো লেকচার দেওয়ার পাশাপাশি মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণও চলতো। আন্দোলনকারীরা নানা স্লোগানের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের দাবকেহ গান পরিবেশন, নৃত্য, পাঠদান, বিতর্ক এবং পড়াশোনাও করতো।

হাতেগোনা কিছু শিক্ষার্থীর শুরু করা এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানালে আমেরিকার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে তা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও চিন্তাশীল সম্পন্ন বিশ্বের নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এর প্রভাব পড়ে। একই সময়ে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়ার তালিকাও লম্বা হতে থাকে এবং তা যুদ্ধ বিরতিকে ছাপিয়ে যায়। যেসব সামরিক কোম্পানি ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চুক্তি বাতিলের দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে শান্তি ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মূলনীতি অনুসারে ইজরায়েলি সামরিক শিল্প ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার বিষয়টিও দাবিতে যুক্ত করা হয়।

চলমান যুদ্ধ নিয়ে নিরবতা ও অপরাধীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার মাঝেই শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীরা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাজা সলিডারিটি এনক্যাম্পমেন্টকে’ বীরোচিত কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছে। তারা তাদের সরকারের ওপর গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাংকের নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চাপ সৃষ্টি করছে।

যদিও ইসরায়েলের সমালোচনা ও তার অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্দোলনকে নস্যাৎ এবং শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে প্রথাগত অস্ত্র হিসেবে এ আন্দোলনকে ‘অ্যান্টি-সেমিটিজম’ তথা ইহুদি বিদ্বেষী তকমাও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের এ অস্ত্র এখন আর কোনো কাজে আসছে না। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা যখন নিশ্চিত করেছে যে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। তারা ঘোষণা দিয়েছে, তাদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। ফলে, এটি সেই নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন, যা আমেরিকার ইতিহাসে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৫০ সাল থেকেই আফ্রিকা থেকে ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়া থেকে আরব অঞ্চলের আরব বসন্ত; এসব ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই শিক্ষার্থী আন্দোলন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য বিপ্লবের চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এর একটি অংশ মার্কসবাদেও দখল করে আছে। শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। মার্কসবাদীরা যাকে ‘মোটর শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশার ইতিহাস’ হিসেবে গণ্য করে থাকে।

শ্রমিক ইউনিয়নগুলোতে রাজনীতিকরণ এবং দুর্নীতির মতো দুর্বলতার কারণে ছাত্র আন্দোলন সমাজ পরিবর্তনে সক্ষম ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কারণ, এতে রয়েছে যুবকদের প্রাণশক্তি, যারা বিভিন্ন দল ও সুবিধাভোগীদের থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে এবং এই যৌবন তাদেরক ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগরে পরিণত করছে।

অথচ, কোনো এক অজানা কারণে, আমরা আরব দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তেমন কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি না। অন্তত তাদের দেশের বাইরেও তাদের কণ্ঠ শোনা যায় না। আমার সবচেয়ে কাছের দেশ মরক্কোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়ে সবাই নিশ্চুপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কর্মীরাও ফিলিস্তিনের সমর্থনে জোড়ালো আওয়াজ তুলতে ভয় পাচ্ছেন।

অন্যদিকে, যারা গাজায় যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে চান, তাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া এবং ছাত্র আন্দোলন দমন-পীড়নে নানা কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গত মাসে, জেরুজালেমবিষয়ক ‘ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মরোক্কান স্টুডেন্টসের’ ষষ্ঠ ফোরামে শিক্ষার্থীরা যাতে অংশ নিত না পারে, সেজন্য মরক্কোর আবদেল মালেক এসাদি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রসিডেন্ট ক্যাম্পাসে পুলিশ তলব করেন।

‘আল আকসা ফ্লাড : বিজয় ও স্বাধীনতাই জাতির সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক’ শীর্ষক স্লোগানে ওই ফোরাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ফোরাম শুরুর আগেই তিনদিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্ট সব ধরনের ক্লাস ও সুবিধা বন্ধ ঘোষণা করেন। এ ছাড়া, মরক্কোর ৩০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য কলেজ ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যাপক, শিক্ষক কিংবা ছাত্র, সবার মাঝেই ভয় এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে।

একটি প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রগতিশীল অধ্যাপক যিনি ন্যায়ের পক্ষে বিশেষ করে ফিলিস্তিনের ব্যাপারে তার অবস্থানের জন্য সুপরিচিত। তিনি আমাকে জানান, ভয়ের কারণে মরক্কোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া থেকে বিরত থাকছে সবাই। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন, সেটি রাবাতের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রমাণ হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। ওই অধ্যাপক প্রসিডেন্টকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে একটি শিক্ষা বিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এমন আয়োজনে রাষ্ট্রের ‘সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ’ অনুমতি নাও দিতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসিডেন্ট তার আশঙ্কার কথা জানান। বিশেষ করে মরক্কোর সঙ্গে জায়নবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের বাতিঘর এবং সমাজের নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। মরক্কো হলো সেই দেশ, যার ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী এমনকি সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন বছরগুলোতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্ররাই সামাজিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু গত দুই দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রসিডেন্টরা কর্মী বনে গেছেন। তারা এখন কেবল তাদের ব্যক্তি স্বার্থ, পদ-পদবী এবং সামাজিক মান মর্যাদার প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারা কর্তৃপক্ষের ইশারার অপেক্ষায় থাকেন, যাতে তাদের বিরাগভাজন হতে না হয়। তবে, কর্তৃপক্ষকে ক্ষুব্ধ এবং অসন্তুষ্ট করতে পারে এমন কণ্ঠস্বর দমনে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তারা কুণ্ঠাবোধ করেন না। এভাবেই তারা তাদের পদ-পদবী রক্ষার মূল্য দেন এবং সব আশাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠেন।

অন্যদিকে, মরক্কোর জনগণের যেকোনো লড়াই ও সংগ্রামে দেশটির ছাত্র সমাজ অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। নাগরিক আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান এবং রাজনৈতিক দল পরিচালনাসহ মরক্কোর ইতিহাসজুড়ে রয়েছে ছাত্রদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এবং তাদের আত্মত্যাগের কাহিনি। যার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সূচিত হয়েছে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে মরক্কোতে যে আন্দোলন হয়েছিল, তার নেতৃত্বে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই। ওই আন্দোলন হাজার হাজার তরুণ ও যুবককে আকৃষ্ট করেছিল এবং শিক্ষার সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পদ্ধতিগত নিপীড়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখা হচ্ছে।

গাজায় যুদ্ধাপরাধ যখন অনেক দূর অঞ্চলেও প্রতিবাদের ঢেউ তুলেছে, তখন আমরা আরব অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ, এটি একটি গভীর নৈতিক বিষয়। গাজা ট্রাজেডি বন্ধে প্রতিনিয়ত যেসব কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হচ্ছে এবং দাবি তোলা হচ্ছে তাতে যদি বিশ্ব কর্ণপাত না করে, তাহলে ভবিষ্যতে মানবজাতির সহাবস্থানের ক্ষেত্রে এ সঙ্কট ভয়ংকর রূপ ধারণ এবং মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।

মিডল ইস্ট মনিটর অবলম্বনে অনূদিত

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিরব-রিফাতের ‘অবুঝ মনের প্রেম’

ধানের দাম নিয়ে কৃষকের হাহাকার

কার বেশি আয়, রোনালদো নাকি মেসির?

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান চালাবে র‍‍্যাব

স্বেচ্ছামৃত্যুর আগে তরুণীর ব্যতিক্রমী আয়োজন

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান 

কুয়েতে নতুন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল তারেক

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজারের বেশি হজযাত্রী

গণতন্ত্র-উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিশ্বে রোল মডেল : রাষ্ট্রপতি

ঢাকার যেসব এলাকায় শনিবার গ্যাস কম থাকবে

১০

৬ তারিখে বাজেট দেব, বাস্তবায়নও করব : প্রধানমন্ত্রী

১১

দেবরের হাতে ভাবি খুন

১২

বীজতলা ফেটে চৌচির, কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

১৩

যারা একবেলা খেতে পারত না, তারা চারবেলা খায় : প্রধানমন্ত্রী

১৪

আ.লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ খাতকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছে : প্রধানমন্ত্রী

১৫

ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪

১৬

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

১৭

জমির বিরোধের জেরে মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ, নিহত ১১

১৮

সবজির বাজারে উত্তাপ, চড়া দাম

১৯

ইতালিতে বাড়ছে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

২০
X