কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাবার স্বাধীন করা দেশ ব্যর্থ হতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

যে দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, সেই দেশ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে যে ভিত্তিটা, সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব করে দিয়ে গেছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের যে সংবিধান দিয়েছেন এবং এত কাজ যে তিনি কীভাবে করে গেছেন, সেটা ভাবতে সত্যি অবাক লাগে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ আর এগোতে পারেনি। কারণ, প্রতিনিয়ত আমাদের সেনাবাহিনীতে ক্যু, একটার পর একটা খুন হয়েছে। আর হাজার হাজার সৈনিক-অফিসারকে জীবন দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ফেরার পরে ৭ জুন ছয় দফা পালনকালে আমি প্রথম বক্তব্যে বলেছিলাম, আমি সশস্ত্র বাহিনীতে আর কোনো বিধবার কান্না শুনতে চাই না, সন্তানহারা পিতা আর পিতাহারা সন্তানের কান্না শুনতে চাই না। আমার চেষ্টাই ছিল, যারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, তাদের আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করা- যেখানে সংঘাত নয়, শান্তি থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর সরকারে ছিলাম, বাংলাদেশকে চেয়েছিলাম উন্নত করতে। ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেই বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হই। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি। ২০০১ সালে সরকারে আসতে পারিনি তার কারণ ছিল, আমাদের গ্যাস বিক্রি করার একটা প্রস্তাব ছিল, আমি রাজি হইনি। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাব, সেই দুর্বলতা আমার নেই।

তিনি বলেন, বড় দেশ আমেরিকা, তাদের কোম্পানি গ্যাস তোলে। কিনবে ভারত। এত বড় বড় দেশের বিরুদ্ধে কথা বললে আর ক্ষমতায় থাকা যায় না। কাজেই ২০০১ সালে আমি ভোট বেশি পেলেও সরকার গঠন করতে পারিনি। কিন্তু আমার কোনো আফসোস ছিল না। এরপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা পার করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার বিজয়ী হয় এবং সরকার গঠন করে।

বর্তমান সরকারের আমলে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় দেশগুলোকেও এখন বলতে হয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে আমরা বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যদি করোনা মহামারি না হতো, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ না হতো, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন না হতো, আমরা আরও অনেক এগিয়ে যেতাম।

তিনি বলেন, আজকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে আমি এর প্রতিবাদ করেছি। যখন যেখানে গিয়েছি, সেখানেই এর প্রতিবাদ করেছি- এখনো করে যাচ্ছি। এভাবে গণহত্যা, নারী-শিশুদের ওপর অত্যাচার- এটা সত্যিই সহ্য করা যায় না। আমরা সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, ন্যায়ের সঙ্গে থাকি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্ধুত্ব আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার

ড্রাফটের আগেই ৬ বিদেশি তারকাকে দলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল!

বিশ্বমঞ্চে নিজের শেষ ম্যাচ কি খেলে ফেললেন মেসি?

এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে চাকরিপ্রত্যাশীদের ফের অবস্থান

চাঁদে আঘাত করতে আসছে বিরল এক গ্রহাণু

মঙ্গলবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত ইরান

বিদায়ী বার্তায় পিএসজিকে প্রশংসায় ভাসালেন মেসি

‘আমাদের বাংলাদেশের আলিয়া ভাট’

ফেব্রুয়ারিতেই হবে জাতীয় নির্বাচন : আমিনুল হক

১০

গাজীপুরে কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

১১

ভুয়া দুদকে বিব্রত দুদক

১২

পৃথিবী শুরুর গল্প বলবে কি প্রাচীনতম শিলা?

১৩

অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে যুবলীগ নেতার হেনস্তা

১৪

জলবায়ু রক্ষায় প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে টাকা দেবে সরকার

১৫

চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা

১৬

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

১৭

চট্টগ্রামে ৫টি গুইসাপ উদ্ধার

১৮

ট্রাম্পের বক্তব্য লক্ষ-কোটি মুসলিমের অনুভূতিতে আঘাত করেছে : ইরান

১৯

‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

২০
X