দুষ্কৃতকারীদের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে গুলশান থানা বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।
আমিনুল হক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের যে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে নিউজ-২৪, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন- সেখানে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, মিডিয়ার ভাইয়েরা এতেদিন শেখ হাসিনার কারণে সঠিক তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে তুলে ধরতে পারেনি। দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর যখন এই মিডিয়ার ভাইয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন, ঠিক তখন কিছু দুষ্কৃতকারী এসে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টা করছে। গণমাধ্যমের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণমাধ্যমের ওপর যারাই হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করছে, তাদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের মানুষের উপরে যেভাবে জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। আমরা কেউ চাই না, বাংলাদেশে আবার নতুন করে স্বৈরাচার তৈরি হোক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করব।
তিনি বলেন, চাদাবাজি-লুটতরাজ-দখলদারি যেই করুক তার ক্ষমা নেই। আমরা এই জায়গায় জিরো টলারেন্স। অপকর্মের সাথে জড়িত দুষ্কৃতকারী আমার দলের লোকও যদি হয় কিংবা দলের সিনিয়র নেতাও যদি হয়, তাকেও ক্ষমা করা চলবে না। দুষ্কৃতকারীদের ধরে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিন।
পরে বিক্ষোভ মিছিলটি গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুলশান-১ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এবং থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন