তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কয়েকদিন আগে এলপি গ্যাসের দাম কমানোর পর মাস না যেতেই বৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যখন দাম কমানো হয়, তখন তা কবে থেকে কার্যকর হবে তা উল্লেখ করা হয় না। কিন্তু যখন দাম বৃদ্ধি করা হয়, তখন বলা হয় আজ থেকে তা কার্যকর হবে। এভাবে জনগণকে নাচের পুতুল হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যে কোনো পণ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করে জনগণকে শোষণ করা হচ্ছে। যখন যা মনে চায়, তাই করা হচ্ছে। জনগণের মতামতের কোনো মূল্য নেই বর্তমানে।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এলপি গ্যাসের বাড়তি দাম প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলেন, বাসা-বাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারের এলপিজির দামও কমাতে হবে। এমনিতেই জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। তার ওপর এলপি গ্যাসের বর্ধিত মূল্য মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে।
আগামী ৫ আগস্ট সমাবেশ সফলের আহ্বান
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে আগামী ৫ আগস্ট শনিবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সমাবেশ সফল করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলেন, কোনোপ্রকার টালবাহানা সহ্য করা হবে না। জাতীয় সরকার ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেশবাসী দেবে না।
নেতারা সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করে বলেন, আপনারা দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবেন না। দেশের মানুষের রক্ত ঝড়াবেন না। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন। অবিলম্বে অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জনগণ ফুঁসে ওঠলে পালাবার জায়গাও পাবেন না।
নেতারা আওয়ামী লীগের হাতে খুন হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিমের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এতে গড়িমসি করলে পরিস্থিতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ এবং সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে ওঠবে।
মন্তব্য করুন