কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বুধবার (৬ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধু নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকাণ্ড শুরু করে। সেজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দুঃশাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া।

বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশ মাতৃকার এই চরম সংকটকালে ’৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। এই অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির সম্মিলন ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।

পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারেক রহমান বলেন, এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। আধিপত্যবাদী শক্তির এ দেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্যসাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আবারো বিদেশি শক্তির দোসর আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতাকে জোর করে আঁকড়ে ছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছিল। গোপন চুক্তি সম্পাদন করে আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রভুত্ব কায়েমের বেপরোয়া কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছিল।

তারা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদের আয়নাঘরসহ গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার এক ভয়াল দুঃশাসন কায়েম করে বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে নির্দয় শাসনের যাঁতাকলে পৈশাচিকভাবে পিষ্ট করেছে, উল্লেখ করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রামুতে হাতির আক্রমণে ব্যবসায়ী নিহত

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ছাত্র মজলিসের সভা

ময়মনসিংহে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২৫

‘বিগত বছরগুলোতে বিক্রি হয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবিতা দেখেছি’

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী হত্যা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

১৬ বছরের দুঃশাসন শেষ হতে ১৬ দিনও লাগেনি : অসীম

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের চিত্র প্রদর্শনী

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নতুন সভাপতি কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক মাছুদ

রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বার্তা, উত্তেজনা

ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের মশাল মিছিল

১০

মঈন খানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের

১১

চট্টগ্রামে বিজয় মেলা / গয়না ও মৃৎপণ্য কিনতে তরুণীদের ভিড়

১২

আরাকান আর্মি বাংলাদেশের ভূমি দখল করেছে দাবি, জানা গেল সত্যতা

১৩

আন্দোলনে হামলায় আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার  

১৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের খোঁজ নিলেন ডা. সায়েদুর রহমান

১৫

কুমিল্লায় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আবাহনীকে হারাল মোহামেডান

১৬

চুল কাটতে বলায় মারধর, ১১ মাস অজ্ঞান থাকা সেই বৃদ্ধের মৃত্যু

১৭

‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিল আ.লীগ’

১৮

দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পর দায় স্বীকার বার্সা কোচের

১৯

‘ট্যাগের রাজনীতি থেকে এখনো বের হতে পারিনি’

২০
X