বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। দেশবাসী অশান্তি ও কষ্টে থাকলেও তাদের কিছু আসে-যায় না বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পূর্বপান্থপথস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এলডিপি আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অলি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে রাজনীতি ধ্বংস করেছিল, বর্তমানে মনুষ্যত্ব ও দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই বলছি, যত শিগগিরই সম্ভব ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
কর্নেল (অব.) অলি বলেন, ছয় ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে সরকারের আস্থাভাজনরা। অথচ তাদের ব্যাপারে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। লোপাট করা অর্থের বড় অংশ পাচার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। সংসার চালানোই দায় পড়েছে মানুষের। এই সরকারের আমলে প্রতিটি পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।
অলি আহমদ আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে তাতেও বিতর্কিত ৪৩ ধারা রয়েছে। এই আইন জনগণের কল্যাণে নিয়ামক নয়। তাই এই আইন বাতিল করুন।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, বন্যার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। অথচ সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে যে টাকা ও খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। সাগর-রুনিসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। পুরো রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় আছে। দেশের ভোটব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্মমভাবে প্রহার কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী অলি আহমদ।
পরে গণমিছিল শুরু হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এস এম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহদপ্তর ওমর ফারুক সুমন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন