আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের উন্নয়নে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। তারা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অসাংবিধানিক ধারায় যারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে তাদের ১৪-দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) উত্তরার আজমপুরে ১৪ দল আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ১৪-দলীয় জোটের উদ্যেগে ঢাকা শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আমু বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়েই এদেশে হত্যার রাজনীতির শুরু হয়েছে। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে জিয়া। রাজনীতির সুযোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান বলেন, বিএনপি নির্বাচন প্রস্তুতি না নিয়ে ২০১৩-১৪ সালের মতো নৈরাজ্য ও আগুনসন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। সংবিধান অমান্য করে নির্বাচন করতে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার দাবি করছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চিঠি দিচ্ছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে নাকি মানবাধিকার নেই। অথচ বাইডেনকে কেউ হত্যার হুমকি দিলে তাকে গুলি করে হত্যা করছেন তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে জঙ্গি দমন করলেও নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও অনির্বাচিত সরকার এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিকে বলতে চাই আগুন নিয়ে খেলবেন না। বিশৃঙখলা করলে জনগণকে নিয়ে দাত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। নির্বাচন যথা সময়ে হবে, সেই কে এলো কে এলো না সেটা দেখার বিষয় না। নির্বাচন হবেই।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন