দেশকে নিয়ে নানাদিক থেকে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ জন্য তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম ‘ষড়যন্ত্রের উৎপাটনই শোকাবহ আগস্টের অঙ্গীকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধার অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র আজও চলছে, একই লোকদের দিয়েই চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করতে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র প্রতিহত না করার খেসারত কী দিতে হয় এটি আমরা এখন জানি। পঁচাত্তরে যদি বঙ্গবন্ধুকে আমরা না হারাতাম তাহলে বাংলাদেশ এ অন্ধকারে পতিত হতো না।
সুশীল সমাজ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বলে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুশীল সমাজের বিশাল অংশ মানবতার কথা বলে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বা তার পরিবারকে নি:সংশ করার চেষ্টা নিয়ে তাদের কথা নেই। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা নিয়ে কথা নেই। ২০১৩-১৪ সালে পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করা হলো, পঙ্গু করে দেওয়া হলো এতে কারও মানবাধিকার নিয়ে কথা নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে একটি বাড়ি একটি খামার, সবুজ কৃষি, গৃহায়ণ বা কেউ আশ্রয়হীন থাকবে না, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া সবকিছুই মূলত মানুষদের জন্য করা। সেগুলোই বঙ্গবন্ধু কন্যা করে চলেছেন। ষড়যন্ত্র আজও চলছে, তার একটা বড় প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পিলখানায় বিডিআরের ঘটনা ঘটানো হলো এবং সেটিকে সেনাবাহিনীকে কেমনভাবে সরকারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ষড়যন্ত্রের জাল কেটে আমাদের এগোতে হচ্ছে। এখন যুদ্ধের যে ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত এবং ধরন বদলেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সাইবার জগতে চারিদিকে যুদ্ধ। আমাদের সেই যুদ্ধ করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সংখ্যালঘু নির্যাতন করেনি। আমরা এতটাও ভোলা নই, ৭১ ভুলে যাইনি। ৯১ এরপরে, ২০০১ এর পরে কী হয়েছিল তা ভুলে যাইনি। গোপাল কৃষ্ণ, ফাহিমা মুনিমা সব ভুলে যাব? যাদের মাধ্যমে আমরা এমন নৃশংসতা দেখেছি। তারা বলে আমরা নির্যাতন করিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অবঃ), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন