মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ রাতেই তার জন্মস্থান পিরোজপুর নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর (বিএসএমএমইউ)-তে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয়।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকালে ৫টার সময় তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে রাতেই তাকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পার্ট-১ বন্দি ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার বিকাল ৫টার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী।
পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মন্তব্য করুন