বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করা ঝিনাইদহের সেই নিজাম উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (০৩ মে) নিজাম উদ্দিনকে দেখতে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ড্যাবের সাবেক যুগ্মমহাসচিব ডা. আ.ন.ম. মনোয়ারুল কাদির বিটু। তারা নিজাম উদ্দিনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়।
এরপর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাতের তত্ত্বাবধানে নিজাম উদ্দিনকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। নিজাম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে।
এর আগে দুপুর ১২টায় নিজাম উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফরিদপুরে যায়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিজাম উদ্দিন এবং তার স্বজনদের প্রতি তারেক রহমানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন তারা। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজাম উদ্দিনকে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা আলমগীর কবির ও সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি।
আরও উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর জেলা ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. খান মো. আরিফ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম এম শাহিনুর ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরপি ডা. মো. মিজানুর রহমান এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা আর নিয়মিত ধূমপান করায় শারীরিক অবস্থা ভালো নেই নিজাম উদ্দিনের। পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে রান্না করা খাবার মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন নিজাম উদ্দিন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা রাখতে গিয়ে টানা ১১ বছরের বেশি সময় ধরে ভাত খান না তিনি।
মন্তব্য করুন