পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে মসজিদ লক্ষ্য করে ভারতের বিমান হামলার ঘটনায় নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
বুধবার (০৭ মে) এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এই আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ভারতের মোদী সরকার কাশ্মীরের পেহেলগামে নীরিহ পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্যে পাকিস্তানে হামলা করেছে। আধিপত্যবাদী ভারত কাশ্মীরী জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে দীর্ঘকাল ধরে। মোদি সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরীদের অধিকার খর্ব করেছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি অপ্রমাণিত। এর মধ্যে ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘পানি আস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। মসজিদকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে ভারতীয় বিমান, নৌ ও স্থল বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা দু’টি পারমানবিক শক্তিধর দেশকে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এ যুদ্ধ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয় সারা বিশ্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। তাই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যাতে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ না নেয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধ করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে তৈরি উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের ৯টি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানও। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাল্টা হামলায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পেহেলগামে হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে। এর আওতায় পিওকে এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলোতে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ পেহেলগামে ২৬ নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সামরিক পদক্ষেপ ছিল নির্ভুল, পরিমিত ও অ-উত্তেজনামূলক এবং এতে কোনো পাকিস্তানি সেনা স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে হামলা-পাল্টা হামলার উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্তেও। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি ও মর্টার হামলা শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন