জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিলেন সংগঠনের একজন পরীক্ষিত ও সাহসী কর্মী। সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা। ফ্যাসিস্ট শাসনের সময়ও সে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গলবার (১৩ মে) মধ্যরাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রাকিব বলেন, এমন একজন সাহসী কর্মীর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, নিহত ছাত্রনেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও জনপ্রিয় একজন সহযোদ্ধা। সহপাঠীদের মাঝে সাম্য ছিল খুবই জনপ্রিয় ও মেধাবী ছাত্রনেতা। আমরা এই মুহূর্তে এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজছি না। আমরা শুধু আমাদের সহযোদ্ধার নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
রাকিব আরও বলেন, যে বা যারাই এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত যে অবস্থা বিরাজ করেছে তারই প্রতিফলন হচ্ছে আজকের ঘটনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পুরোপুরি অনিরাপদ স্থান। যেখানে দিনে-রাতে প্রকাশ্যে মাদকসেবীরা মাদক সেবন করে। রাত ১২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় মাদকের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে। এগুলো মাসের পর মাস চলছে।
রাকিব বলেন, জুলাই-আগস্ট পরবর্তী আন্দোলনের বাস্তবতায় এদেরকে ধরার মতো পুলিশ প্রশাসনের সামর্থ্য রয়েছে কিনা আমি সন্দিহান। আমরা বিভিন্ন সময় এগুলো বলেছি কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি মনে করি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে পুরোপুরি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য মঙ্গলবার রাতের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বহিরাগত বাইকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সাম্যকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিসৎক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন