বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জনসংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে কোনো জবরদস্তি উগ্র ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। আমরা অনেক শহীদের জীবনের বিনিময়ে এক ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিয়েছি ভিন্ন চেহারায় নতুন কোনো ফ্যাসিবাদী চিন্তা, দর্শন বা রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য নয়। জনসংস্কৃতির ক্ষেত্রে যারা গায়ের জোরে বিশেষ কোনো সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায় তারা আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যেই বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, নানা বৈচিত্র্যের মধ্যেই আমাদের ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির বিকাশ ও বিস্তৃতি ঘটেছে।
তিনি উগ্রবাদ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হরণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি ন্যায্য, মানবিক, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক গণসংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠকদের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সংহতি সংস্কৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, শেখ মোহাম্মদ শিমুল, খায়রুল বাশার হিরন, আজিজ টিপু, তিথি সুবর্ণা, বাবর চৌধুরী, রাশিদা বেগম, নীপা চৌধুরী, কাব্য রাসেল, জোনায়েদ হোসেন, বাকের আহমেদ, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শামীম, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, অসহিষ্ণুতা, অনাকাঙ্ক্ষিত জঙিবাদী হুমকি এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমন্বিত কণ্ঠ তৈরির আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে একটি সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, সাম্যবাদী ও বহুস্বরভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিসরের দেশ গঠনের পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়।
সভার শুরুতে সংগঠনের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গণসংগীতশিল্পী এপোলো জামালীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে তার সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় আগামী ২৭ মে প্রয়াত এপোলো জামালীর শোকসভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন