জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে অর্থবহ কিছু সংস্কার করা লাগবে এবং কিছু বিচার করা লাগবে। এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটা নির্বাচন হবে, যেই নির্বাচনে একটা সমতল মাঠ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তাদের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। এখানে পেশিশক্তি এবং কালোটাকার ছড়াছড়ি থাকবে না।
শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির।
এর আগে রাত ৮টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দলটির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তার সঙ্গে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর মানুষ তিনটি নির্বাচনে তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এবার তারা নিঃসংকোচে নিজেরা সেই অধিকার প্রয়োগ করতে চায় এবং এ সুযোগ পাবে নিশ্চিত হবে।
এ সময় সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারও কোনো পদত্যাগ চায়নি। প্রয়োজন অনুভব করলে সে বিষয়ে জানানো হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমে পুরো অস্থিরতা দূর হবে বলে আমরা আশাবাদী। বিএনপি তাদের মতামত দিয়েছে। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা গভীর মনযোগ সহকারে শুনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন যে দেশ আমাদের সবার। তিনি দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে চান। তিনি যেনতেন নির্বাচন দেখতে চান না। সব দলের কথা শুনে তিনি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আমরা মনে করি।
নির্বাচন নিয়ে কী আলাপ হয়েছে, এমন প্রশ্নে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা শুধু নয়, সবাই সংস্কারের পর নির্বাচন চায়। তবে আমরা সময় বেঁধে দিইনি। সংস্কার শেষ হলে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্য কিংবা তা না হলে রোজার পরপরই হতে পারে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বলেছি, যে সময় (নির্বাচনের) দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। তার আগে সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। যদিও সব সংস্কার এই সরকার করতে পারবে না। কারণ তারা মাত্র ৫টি বিষয়ে সংস্কারে হাত দিয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার আছে। যেটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ঐক্যবদ্ধ সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি অর্থবহ নির্বাচন হবে, আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি।
মন্তব্য করুন