নির্বাচনি রোডম্যাপের ঘোষণা দেরি হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৬টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রজ্ঞা এবং ক্ষমতা আছে, যার শুরু নির্বাচনি রোডম্যাপের জরুরি ঘোষণা দিয়ে। এটি যত বেশি বিলম্বিত হবে, তত বেশি ঝুঁকি থাকবে যে, জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে।
মির্জা ফখরুল চোখের অসুস্থতাজনিত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
মির্জা ফখরুলের পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো-
‘চোখের অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে, আমি আরও কয়েক দিন বিমানে যেতে পারব না। তা সত্ত্বেও, আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং ইতিবাচক ফলাফলের জন্য যা করা সম্ভব তা করছি।’
‘গতকালের (সোমবার) বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে দেখে আমি আনন্দিত হয়েছি এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণ, গত ১৫ বছরে (জুলাই ২০২৪ সহ) অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে স্পষ্ট অগ্রগতির জন্য আমি উন্মুখ।’
‘আমাদের মনে রাখতে হবে- গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ন্যায়বিচার এবং সংস্কারগুলো পারস্পরিকভাবে আলাদা নয়। এগুলো একসঙ্গে ঘটতে পারে এবং অবশ্যই ঘটতে হবে। এটিই আমাদের জাতির জন্য সর্বোত্তম পথ।’
‘আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রজ্ঞা এবং ক্ষমতা আছে, যার শুরু নির্বাচনী রোডম্যাপের জরুরি ঘোষণা দিয়ে। এটি যত বেশি বিলম্বিত হবে, তত বেশি ঝুঁকি থাকবে যে, জাতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে।’
‘আসুন বাংলাদেশকে প্রকৃত গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিতার পথে নিয়ে যাওয়ার এই সুযোগটি হাতছাড়া না করি।’
মন্তব্য করুন