জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, দেশে যেই অনৈক্যের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেখান থেকে সম্ভবত আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি।
লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ প্রধান বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে একান্ত বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হলে, জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অর্থাৎ ‘ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে’ সেখান থেকে সরে এলো বিএনপি। ‘এপ্রিল ঘোষণা দিয়েছি, তাই এপ্রিলেই নির্বাচন হতে হবে’ সেখান থেকেও সরে এলো অন্তর্বর্তী সরকার। যেই অনৈক্যের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে সম্ভবত আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ধন্যবাদের দাবিদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে না। দেশের জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এবং ঘোষণা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ভূখণ্ডে না হয়ে দেশের বাইরে থেকে প্রকাশ করা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। বৈঠক যেহেতু দেশের মাটিতে হয়নি, বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে দেশ থেকে ঘোষণা দিলে, তা বৈষম্যহীন এবং সর্বজনগ্রহণযোগ্য হতো।
জাগপার এ মুখপাত্র বলেন, একটি দেশের সরকার এবং একটি রাজনৈতিক দল যৌথ বিবৃতি দিতে পারে কি না এবং এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি না, এই বিষয়েও কিছুটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অতীতে এ রকম ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে; ভুল হতে পারে, তবে আমার অন্তত জানা নেই। তবুও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আশা করি, এখন সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ হবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত জাতীয় নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন