আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সন্নিকটে দাবি করে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, পতনের আগে সরকার আবোল-তাবোল বকছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
দেশের মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়- এমন দাবি করে যুবদল সভাপতি টুকু বলেন, পতনের আগে এই সরকার আবোল-তাবোল বকছে। ভীত হয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা বাধা দিচ্ছে। সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। কিন্তু এই হামলা-মামলা দিয়ে বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে ব্যাহত করা যাবে না। এবারের লড়াইটা দেশকে রক্ষার, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অস্তিত্বের লড়াই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে, এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। একটি দেশ টিকে থাকে দুটি বিষয়ের উপরে। সেই দেশের বিচারব্যবস্থা ও আইনের শাসন এবং নির্বাচনব্যবস্থা ঠিক আছে কি না- তার ওপর। এই দুটি জিনিসই এই সরকার ধবংস করে দিয়েছে।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, দেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। লুটপাট আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে হাহাকার চলছে। জনগণ আর এই অপশাসনের ভার বইতে পারছে না। তারা এখন এই সরকারের পতন চায়।
যুবদল সভাপতি আরও বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আবারও আন্দোলন চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, আজিজুর রহমান আকন্দ, সহসাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, শাহ নাসিরুদ্দীন রুমন, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন