কোনো ভুল সিদ্ধান্তের কারণে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তে যাতে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘কারও রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণের প্রধান মাধ্যম হওয়া দরকার জনগণের রায়। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তৈরি হয়। সম্প্রতি কিছু নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতাকে ক্ষেত্রবিশেষে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জুলাই আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জনগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন, ২৪ সালের শহীদরাও একইভাবে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন। গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও ১৬ তারিখের পর তা আর কোটায় সীমাবদ্ধ ছিল না। চূড়ান্ত বিশ্বাস জন্মেছিল, মাফিয়া সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। সেই বিশ্বাস থেকেই সকল গণতান্ত্রিক দল পরিকল্পনা করেছিল। এই আন্দোলন যাতে একক দলের আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি না পায়, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছিল।’
২০১৪ সালে কোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদরা জাতির গৌরব। শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি সম্মান জানানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রথম শর্তই হলো জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। যার জন্য এমন পরিবেশ তৈরি জরুরি। যেন মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারে।’
মন্তব্য করুন