নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী প্রতি পঞ্জিকা বছরে দলের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসিতে) জমা দিতে হয়। এ বছর দীর্ঘদিন পর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়-ব্যয়ের হিসাব ছিল শীর্ষে। দলটির কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকলেও আয় করেছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা এবং ব্যয় করেছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দলটি ২০২৪ সালে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা আয় করেছে এবং ব্যয় করেছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা জাতীয় পার্টির আয় ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা।
ইসিতে জমা দেওয়া দলগুলোর অডিট রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নতুন নিবন্ধন পাওয়া গণঅধিকার পরিষদ প্রথমবারের মতো ইসিতে আয় দেখিয়েছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২০২৪ সালে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৬ টাকা আয় করেছে এবং ব্যয় দেখিয়েছে ৩১ লাখ ১৪ হাজার ৩০৮ টাকা।
৩১ জুলাই ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, মোট ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ে তাদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। তবে ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে এবং ১১টি দল নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
উল্লেখ্য, একযুগ পর আদালতের আদেশে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল হওয়ায় দলটিকে অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল না। আইন অনুযায়ী, পরপর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
মন্তব্য করুন