যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আন্দোলনের ফাইনাল খেলার জন্য জনগণ এবার প্রস্তুত। আজ-কাল বা পরশু এই সরকারকে যেতেই হবে। ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচিতে নভেম্বরের মধ্যে এদের ঘুম হারাম হয়ে যাবে।
আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে একদফার যুগপৎ আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঞ্চের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার পদত্যাগ করলেই নির্বাচনের ৮০ শতাংশ পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে। বাকি ২০ শতাংশ পরিবেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি করবে। তিনি বলেন, সেমিফাইনাল খেলা, মহড়া শেষ। জনগণ এখন ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে আজকে গণতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র আইসিইউতে চলে গেছে। ভোটাধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার এ দেশের মানুষ হারিয়ে ফেলেছে। দেশকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে হঠানো ছাড়া বাংলাদেশের সামনে আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমলাদের পরিবার, ব্যাংক-ব্যালান্স, বাড়িঘর সবই বিদেশে। সচিব-ডিসিরা এখন যে কোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে হুংকার দিচ্ছেন। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে। সুতরাং এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ৩১ দফার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে এই সরকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের আজকে বিচার পাওয়ার অধিকার নেই।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘জনগণ আজ জেগে উঠেছে। আজ, কাল বা পরশু এই সরকারকে যেতেই হবে।’ অধিকারের আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিনের সাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ দেশে কোনো কথা বলার স্বাধীনতা নেই। ৫২ বছর পরও আমরা গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছি।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর জন্য যে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে- এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, আজকে ঢাকা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল পুরানা পল্টন থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম প্রদক্ষিণ করে আবার পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন