

ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে বর্তমানে ভালো অবস্থায় আছেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। তার অসুস্থতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজবে কান না দিয়ে সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করুন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে দলীয়ভাবে দায়িত্বশীল এবং স্পষ্টভাবে জনগণকে যথাসময়ে জানানো হবে। ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, তিনি যে অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তার চেয়ে এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো অবস্থায় রয়েছেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে নিজ বাসভবনে ওয়ারি থানা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ইশরাক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সারা দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসী তার জন্য দোয়া করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আসছেন। ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, তিনি আগের চেয়ে এখন ভালো অবস্থায় আছেন—আলহামদুলিল্লাহ। তাই গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবি করে ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কেউ যদি আওয়ামী লীগকে পছন্দ করত, কিন্তু সে যদি গণহত্যা বা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তাহলে তাদের কাছেও আমাদের যেতে হবে, ভোট চাইতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত বছর যে গণহত্যা হয়েছে, তা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিচার হয়নি, কিন্তু এবারের গণহত্যার বিচার হতেই হবে—এর কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবচেয়ে বড় সংস্কার করেছে বিএনপি। আমরা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এর জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, প্রত্যেক পাঁচ বছর পর পর যেন কোনো দলই ভোট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে, আমরা সেটাই মেনে নেব। আমরা শতভাগ সুষ্ঠু ভোট চাই।
দলের শৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও অন্যায় করেছে, তাদের ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এসব করবে, দল তাদের কোনো পদে রাখবে না। আমরা সবাই বেগম খালেদা জিয়ার সততা থেকে শিক্ষা নিতে চাই।
ওয়ারি থানা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ, মোজ্জামেল হক, শিরীন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোবারক হোসেন, কাইয়ূম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন