গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকট উত্তরণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে স্পেস চাইছেন- সরকার অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেই সে স্পেস তৈরি হতে পারে। আর নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ অবাধ নির্বাচনের বাকি বিষয়গুলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনা করে মীমাংসা করা সম্ভব। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশ পাঠিয়েও সরকার তাদের সদিচ্ছার প্রমাণ রাখতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা, সম্ভাব্য বিপর্যয় ও জনগণের করণীয়’- শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন যে- সবকিছু বন্ধ করে দিবেন, সেটা পারবেন না। ইচ্ছা করলেই এককভাবে রিজার্ভ কমানো যায় না কিংবা বিদ্যুৎ উৎপাদন না কমিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করা যায় না। এইসব হুমকি-ধমকি দিয়ে জনগণের আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেওয়ার হুমকি পাগলের প্রলাপ মাত্র।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আবারও নীল নকশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। দেশের জনগণ এবার তা হতে দেবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ এই সরকারকে বিদায় দিবে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকার ও সরকারি দল যে সমস্ত পায়তারা আঁটছে, এবার কোনো কিছুই কাজে আসবে না। মানুষ এবার এই সরকারকে বিদায় দিবে। কারণ, এই দুঃশাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ইতিহাসের জঘন্যতম নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছে। আবারও একটি প্রহসনের নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছে। সরকারের দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য, সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার এবং দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ এবার জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছে। মরিয়া এই মানুষ প্রয়োজনে যে কোনো ঝুঁকি নিবে এবং এই সরকারকে বিদায় দিবে।
তিনি বলেন, এবার মানুষ বিজয়ী হবে এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান সভা পরিচালনা করেন।
মন্তব্য করুন