সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়ে নানা আলোচনাকে গুজব বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি সবাইকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেন।
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই পরামর্শ দেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অপপ্রচার এখন তুঙ্গে। আর মিডিয়া সেই অপপ্রচারে সহায়তা করে। এখন শুনছি ২৮ তারিখ। এর আগে একবার ১০ তারিখ ছিল। এসব আমাদের কানে আসে। আমরা গুরুত্ব দেই না।
তিনি বলেন, ভারী কলস নড়ে চড়ে কম, হাল্কা কলসই বেশি বাজে। এখন হালকা কলস নড়াচড়া করছে। তবে দেশবাশী এত মুর্খ নয়। দেশবাসী যথেষ্ঠ পরিপক্ব। তারা(বিএনপি) কেউ কিছু বলবেন, আর মানুষ লাফায়া উঠবে এমন নয়। অনেক মিডিয়া এসব বড় করে দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু জনগণ এসব গ্রহণ করে না।
দেশের মানুষকে গুজবে কান দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। কয়দিন পরে পরে গুজব শুরু হয়, এই সরকার গেল। এ সময় মন্ত্রী নিজের বাসার কাজের লোকের উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, আমি একদিন বাসায় ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে কাজের লোক আমাকে বলল স্যার, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছে। তখন আমি বললাম, এটা কোথায় পেলে? সে আমাকে সেলফোন দেখাল। এই ধরনে0র গুজব অনেক আছে।
ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও গুজবের উদাহরণ টানেন। তিনি বলেন, একটি গুজব দেখলাম যে জয়কে আমেরিকা বের করে দিয়েছে। আমরা তখন ওয়াশিংটনে, এমন সময় গুজব ছড়ানো হলো যে জয় সে সময় তার মাকে খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গেতার দেখা হলো, সে দিব্যি আছে। কোনো ধরনের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু সেই অপপ্রচার অনেকেই লুফে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- ‘কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী সফরে যাচ্ছেন’। সাংবাদিকরা কঠিন সময়ের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, সামনে নির্বাচন। আমাদের এখন জনগণের কাছে যাওয়াটাতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সেসময় সফর হচ্ছে বলে কঠিন সময় বলেছেন তিনি।
এ সময় দেশের জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় দেশের জনগণ কষ্টে রয়েছে বলে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন জনগণের কাছে যাই তখন তারা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, লোডশেডিং হয়।
মন্তব্য করুন